Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনিয়া গান্ধী

‘করোনা আবহেও সাম্প্রদায়িকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে বিজেপি’, অভিযোগ সোনিয়ার

প্রথমবার করোনা ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

BJP Continues To Spread Communal Virus, says Sonia Gandhi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 23, 2020 12:37 pm
  • Updated:April 23, 2020 12:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও সাম্প্রদায়িকতার ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করেনি বিজেপি। অভিযোগ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi)। সোনিয়ার কথায়, বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢেলে আমাদের সমাজের সৌহার্দ্য নষ্ট করতে চাইছে। মহারাষ্ট্রের পালঘরে সাধু হত্যার ঘটনায় যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে, সেটাকেই নিশানা করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

CWC-meet

Advertisement

করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, “আমি আপনাদের এমন একটা তথ্য জানাতে চাই যা প্রত্যেকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমাদের যখন ঐক্যবদ্ধভাবে করোনার মোকাবিলা করা উচিত, তখনও বিজেপি (BJP) সমাজে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার ভাইরাস ছড়িয়ে চলেছে। এতে আমাদের সামাজিক সৌহার্দের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে।” কংগ্রেস নেতানেত্রীদের পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরিয়ে আনতে সাধ্যমতো চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছেন রায়বরেলির সাংসদ। সোনিয়া তাঁর বক্তব্যে পালঘরের কথা উল্লেখ না করলেও, তিনি যে সেই ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, রাজনৈতিক সুবিধা তুলতে সাধু মৃত্যুর এই ঘটনায় সুকৌশলে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করেছে বিজেপি।

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পথ দেখাচ্ছেন মোদি, বিশ্বের সফলতম রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রীকে]

পালঘর ইস্যুর পাশাপাশি এই প্রথম করোনা নিয়েও সরকারের বিরোধিতা করতে শোনা গেল কংগ্রেস সভানেত্রীকে। তিনি বলছেন, “৩ মে’র পর কি করা উচিত সে সম্পর্কে কোনও চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। এরপর যদি আবার লকডাউন করা হয়, তাহলে সেটা আরও বিপজ্জনক হবে।” সোনিয়ার অভিযোগ, সরকার কিষাণ এবং মজদুরদের কথা ভাবছে না। লকডাউনে ১২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে অন্তত ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া উচিত। রেশন ব্যাবস্থার বাইরে আছেন দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য, ১ কেজি ডাল এবং অন্তত ৫০০ গ্রাম চিনি পৌঁছে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস সভানেত্রীর অভিযোগ, এখনও দেশে উপযুক্ত পরিমাণ টেস্ট হচ্ছে না। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য PPE কিটও যথেষ্ট পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে না। এসবকিছুরই প্রতিবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এক কথায়, এবার করোনা ইস্যুতে কোমর বেঁধে সরকারের বিরোধিতায় নামছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement