Advertisement
Advertisement
Akhilesh Yadav

‘ভোট-কারচুপি ঢাকতে সম্ভলের মসজিদে পরিকল্পিত হিংসা বিজেপির’, বিস্ফোরক অখিলেশ

মসজিদে সমীক্ষার সময় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ বাধে।

BJP behind Sambhal violence, wanted to distract from poll rigging Says Akhilesh Yadav
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 24, 2024 5:53 pm
  • Updated:November 24, 2024 6:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে মসজিদ সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী। এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি শাসক দলকে দায়ী করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। ‘সপা’ নেতার দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বেনজির অনিয়ম হয়েছে। তা থেকে মনোযোগ সরাতেই সম্ভলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি।

সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ প্রশ্ন তুললেন, যদি ইতিমধ্যে একবার সমীক্ষা হয়ে থাকে, “তবে কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই কেন দ্বিতীয়বার সমীক্ষা? ভোরবেলায় এই কাজ হল কেন, যখন মানুষের মনে সহজেই প্রতিক্রিয়া হয়?” অখিলেশ দাবি করেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বেনিয়ম ঢাকতে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী অশান্তি সৃষ্টি করেছে বিজেপি।” উল্লেখ্য, গতকাল উত্তরপ্রদেশের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের পুনর্নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই জয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন অখিলেশ।

Advertisement

শাহী জামা মসজিদ সংক্রান্ত মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ মোতায়েনে প্রথম দফায় সমীক্ষা মিটেছিল।

এদিন দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার জন্য সরকারি আধিকারিকরা মসজিদে পৌঁছালে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার প্রায় শতিনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন মসিজদের সামনে। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যদিও মসজিদের প্রধান বার বার ভিড়কে সরে যেতে অনুরোধ করেন। পুলিশ আধিকারিকরাও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি শামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরেও অশান্তি থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে জানা যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement