বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির অভিযোগ, ন্যায় বিচার নয় বরং অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে সরকার। মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও নৃশংস হত্যার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নির্মমতা’ বলে আক্রমণ শানালেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া।
আর জি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়ের প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপি নেতা বলেন, ‘শুরু থেকেই এই মামলায় অপরাধীদের বাঁচানো ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে গিয়েছে পুলিশ। অপরাধের পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই সময়টাকে ব্যবহার করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন সেই নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেবেন তিনি।’ এছাড়া বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, ওই নৃশংসতার পর ঘটনা পরম্পরায় নজর রাখলেই দেখা যাবে ঠিক কী ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল।
গৌরব বলেন, ”হাসপাতালে আমাদের মেয়ের সঙ্গে নৃশংস ঘটনা ঘটানোর পর পুলিশ প্রথমে তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানায় মেয়েটি অসুস্থ। এর পর পরিজনকে জানানো হয় সে আত্মহত্যা করেছে। এই ধরনের ঘটনার পর পুলিশের প্রথম যে কাজ ছিল তা হল এফআইআর করা অথচ তা না করে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা হয়। এবং প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা চলে।” ঘটনার পর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, “এই নৃশংস ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেখানে উচিত ছিল সাসপেন্ড করা, তা না করে তাঁকে অন্য হাসপাতালে করা হয়। অর্থাৎ পুরস্কৃত করা হয়।”
বিজেপির তরফে আরও অভিযোগ তোলা হয়, ”যেখানে অপরাধ হয়েছিল ঠিক তার পাশেই নির্মাণ সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে। ওটা নির্মাণ নয়, আসলে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা চলছে। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে স্পষ্ট যে গণধর্ষণ হয়েছে। অথচ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করছে। লোক দেখাতে একজনকে গ্রেপ্তার করে বাকিদের আড়াল করা হচ্ছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে গোটা ঘটনায় আরও একাধিক জন যুক্ত রয়েছে।” পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা মেয়েটিকে আর ফিরে পাব না ঠিকই কিন্তু এই নৃশংসতার বিচার পেতে পারি। যতদিন না দোষীদের ফাঁসি হচ্ছে ততদিন আমরা থামব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.