সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা দিয়েও মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের ঋণ মকুব করেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পরমর্শ দেয় বিজেপি শিবির। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ ক্ষমতায় আসাকালীন দেশে কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন রাহুল গান্ধী। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও কৃষকদের মামলা রুজু করার পরামর্শ দেয় শিবরাজ সিং-এর সরকার।
সালটা ২০১৮। প্রচার করা হয়, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে কৃষি ঋণ মকুব করা হবে। ‘জয় কিষাণ ফসল ঋণ মাফি যোজনা’ (Jai Kisaan Fasal Rin Maafi Yojna) এটাকেই লক্ষ্য করে কৃষকদের কাছে ভোট চায় কংগ্রেস শিবির। তাঁদের কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়, ক্ষমতায় আসার ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ২ লক্ষ টাকার ঋণ মকুব করা হবে। কিন্তু কোথায় কী? ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। ঋণ মকুব করার জন্য কৃষকদেরকে শংসাপত্র দান করা হলেও কৃষকরা এখনও হাতে কলমে সেই ঋণের ভার থেকে মুক্তি পাননি। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কমল প্যাটেল একটি সাক্ষাৎকারে জানান, “কৃষকদের ঋণ মকুব করার যে প্রতিজ্ঞা কংগ্রেস সরকার করেছিল বা যে শংসাপত্র কৃষকদের দেওয়া হয় তাতে ঋণ মকুব হয়েছে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়।” কমল প্যাটেল আরও বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের ঋণ মকুব করার একটি ফাইলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সই করেছিলেন। সেই ফাইলে ৪৮ লক্ষ কৃষকের মাত্র ৫৪ হাজার কোটি টাকা মকুব করার কথা লেখা ছিল। কিন্তু ঋণ মকুবের জন্য বানানো শংসাপত্রই শুধু কৃষকদের বিলি করা হয়। তাই সেটা দেখে বোঝার উপায় নেই কৃষিঝণ মকুব হয়েছে না হয়নি।” ফলে বিজেপি সরকার কৃষকদের কমলনাথ ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অপরাধে মামলা রুজু করার পরামর্শ করেন। তবে শুধুমাত্র কৃষিঋণ নয়, কংগ্রেস সরকারের আমলে খাদ্যশষ্য, গণপরিবহন নিয়েও জালিয়াতির অভিযোগ করেন।
বিজেপি সরকারের করা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জিতু পাওয়ারি। তিনি জানান, “এই সব অভিযোগ মিথ্যে কংগ্রেস কৃষকদের প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ মকুব করে দিয়েছে। বর্তমানের কৃষিমন্ত্রীকে অন্যের উপরে দোষ চাপানোর আগে নিজের মন্ত্রকের সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা উচিৎ ও নিজের কাজে মন দেওয়া উচিৎ।” কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার প্রথম পর্যায়ে ২০ লক্ষ কৃষকের ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করেছিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারকে আরও ১২ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব করতে চেয়েছিল। তবে তা হওয়ার আগেই ২০ শে মার্চ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগত ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করার পরে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতা হারায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.