ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার বিহারে (Bihar) ভোটগ্রহণ (Bihar Assembly Elections 2020) শুরু হয়ে যাওয়ার পরে টুইট করে ভোটের আবেদন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি (BJP)। বুধবার সকাল সাতটায় বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। তার ঘণ্টাখানেক পরে ওই টুইটটি করেন রাহুল। বিজেপির দাবি, এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার আরজি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিন তাঁর টুইটে রাহুল সকলের কাছে ‘ন্যায়, রোজগার, কৃষক-শ্রমিক’দের জন্য বিরোধী মহাজোটকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি টুইট করার পরেই দ্রুত প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিজেপি-জেডিইউ সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন রাহুল।
इस बार न्याय, रोज़गार, किसान-मज़दूर के लिए
आपका वोट हो सिर्फ़ महागठबंधन के लिए।बिहार के पहले चरण के मतदान की आप सभी को शुभकामनाएँ।#आज_बदलेगा_बिहार
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 28, 2020
প্রশ্ন উঠছে, টুইট করে কি সত্যিই নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন রাহুল? ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধিত আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিতে কোনও রকম প্রচার চালাতে পারে না দলগুলি। ওই সময় কোনও নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন অথবা সাক্ষাৎকার দেওয়াও নিষিদ্ধ। তবে পাশাপাশি এও বলা আছে, একাধিক পর্বে ভোট হলে যে যে কেন্দ্রে ভোট সেখানে ভোটপ্রচার নিষিদ্ধ হলেও বাকি সব কেন্দ্রেই প্রচার চালাতে অসুবিধা নেই। তবে শর্ত হল, সেই সময় প্রচারে ভোটগ্রহণ চলতে থাকা কেন্দ্রগুলির নাম নেওয়া যাবে না। ওই সব কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীকে সমর্থনও করা যাবে না।
যেহেতু এই সব নিয়মের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাব খাটানোর স্পষ্ট উল্লেখ নেই, তাই রাহুলের টুইটের বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, বিষয়টা নির্ভর করছে একান্তই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরে। তারা রাহুলের পোস্টটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে সেটাই দেখার। হয়তো পরবর্তী সময়ে আচরণবিধি সংশোধনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আজ টুইট করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর টুইটে সকলকে ভোট দেওয়ার আরজি জানালেও কোনও দল বা জোটকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।
বুধবার ছিল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। পরে আরও দুই পর্বে ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণের পরবর্তী দিন। ফলাফল ঘোষণার দিন নির্ধারিত হয়েছে ১০ নভেম্বর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.