Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

লোকসভার ধাক্কা থেকে শিক্ষা! চার রাজ্যের বিধানসভায় সেরা ‘সেনাপতি’দের নামাচ্ছেন মোদি-শাহরা

কয়েক মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং কাশ্মীরের নির্বাচন।

BJP appoints observer for Four states Elections
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 18, 2024 2:11 pm
  • Updated:June 18, 2024 2:11 pm  

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন মিটতেই বিধানসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু করল বিজেপি। ভোটমুখী চার রাজ্যে পর্যবেক্ষক ও সহ-পযবেক্ষক নিয়োগ করল তারা। ভোটমুখী চার রাজ্যেই এবার বেশ চাপে বিজেপি। সেজন্য দলের একেবারে বাছাই করা সেরা সেনাপতিদের নিয়োগ করা হল চার রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে।

গেরুয়া শিবিরের তরফে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া হল দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav) ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে (Ashwinim Vaisnaw)। হরিয়ানার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব। ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মুছে ‘আর্টিকেল ৩৭০’, দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে চিন নিয়েও রদবদল NCERT-র]

লোকসভায় ফলাফল আশানুরূপ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। যে রাজ্যগুলিতে ধাক্কা খেতে হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও জম্মু কাশ্মীর। কিছু দিনের মধ্যে এই তিন রাজ্য ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডেও উনিশের তুলনায় ফলাফল খারাপ করেছে গেরুয়া শিবির। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও হরিয়ানায় প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির। কারণ মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই ভোট লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক জোটে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে, হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের ফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে বিজেপি (BJP)। লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েও জম্মু-কাশ্মীরে ছাপ ফেলতে পারেনি পদ্ম শিবির।

[আরও পড়ুন: ফলাফল সন্দেহজনক! EVM ও ভিভিপ্যাট মেলানোর দাবিতে কমিশনে মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রার্থী]

এই পরিস্থিতিতে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হেভিওয়েটদের দায়িত্বে নিয়ে আসার কৌশল নিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য দখলের উদ্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement