সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই স্লোগান বারবার শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, দল হোক বা সরকার, সব ক্ষেত্রেই ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। সেই ছবিটাই সম্ভবত লোকসভা নির্বাচনের আট মাস আগে বদলে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে নাম রয়েছে তারিক মনসুরের। বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের মধ্যে একমাত্র সংখ্যালঘু মুখ তারিককে দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে। তারিক মনসুরের আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। CAA এবং NRC বিরোধী বিক্ষোভে AMU যখন উত্তাল, সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তারিক।
পরে আরএসএসের (RSS) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন তিনি। তারিক বরাবার হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থানের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের পছন্দ করেন, তাঁদের তালিকায় অগ্রণী। সম্ভবত সেকারণেই তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের মধ্যে আনা হল। এর আগে উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদেরও সদস্য করা হয়েছিল তাঁকে।
যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তারিককে বড় পদ দেওয়াটা আসলে বিজেপির কৌশলী চাল। সংখ্যালঘুদের মধ্যে উপেক্ষিত পসমন্দা মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি তিনি। আর বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে এই পসমন্দাদের মন জয়ের চেষ্টা করছে। ২০২২ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কমবেশি সাফল্যও পেয়েছে। লোকসভায় সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আসলে লোকসভায় উত্তরপ্রদেশের প্রায় ৩০ আসনে বড় ফ্যাক্টর মুসলিমরা। এতদিন মুসলিম ভোট কংগ্রেস (Congress), বিএসপি (BSP) এবং সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ায় এই আসনগুলির বেশিরভাগ দখল করত বিজেপি। কিন্তু এবার বিএসপি দুর্বল, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে মুসলিম ভোট একত্রিত হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে। তাই বিজেপি চাইছে মুসলিমদের মধ্যে অন্তত কিছু ভোটে নিজেদের শিবিরে টানতে। সম্ভবত সেকারণেই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেন তারিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.