Advertisement
Advertisement
নরেশ গুজরালের চিঠি

দিল্লির অশান্তিতে পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়’, অমিত শাহকে চিঠি অকালি দলের সাংসদের

সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলেও, মেলেনি বলে অভিযোগ।

BJP ally MP writes to Amit Shah on police inaction over Delhi violence
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 27, 2020 6:54 pm
  • Updated:February 27, 2020 8:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭২ ঘণ্টার অশান্তির আঁচে পুড়েছে রাজধানী দিল্লি। এখনও সেই আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়া অশান্তির জেরে কাঠগড়ায় উঠেছে দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। এবার একই অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপির শরিক দলের সাংসদ। চিঠিতে শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ নরেশ গুজরাল অভিযোগ, দিল্লির হিংসায় কার্যত ‘কাঠের পুতুল’ হয়েছিল পুলিশ। সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাহায্য চাইলেও, তা মেলেনি। শরিক দলের সাংসদেক এহেন অভিযোগে গেরুয়া শিবির যে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

CAA বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। সোমবার থেকে ভয়াবহ রূরপ নেয় সেই অশান্তি। গাড়ি-বাড়ি-দোকান ভাঙচুর থেকে অগ্নিসংযোগ, বাদ পড়েনি কিছুই। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত নতুন করে অশান্তি না ছড়ালেও পরিস্থিতি এখনও থমথমে। শুনশান রাজধানী। রাস্তায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভারী বুটের মার্চের শব্দ। কিন্তু অবিশ্বাসের পরিবেশ থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারছেন না দিল্লিবাসী। আর এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশেক দিকে আঙুল তুলছেন আমজনতা থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা সকলেই। সেই অভিযোগে অবশ্য আমল দিতে নারাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “পুলিশ নিজের কাজ করছে।” তবে এহেন পরিস্থিতিতে অকালি দলের সাংসদের চিঠি তাঁর উপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

[আরও পড়ুন : তামিলনাড়ুতে মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার গুপ্তধন! তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে]

অমিত শাহের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে নরেশ গুজরাল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার উপদ্রুত এলাকার মউজপুরে একটি বাড়িতে ১৬ জন মুসলিম আটকে পড়েছিলেন। একদল উন্মত্ত জনতা সেই বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সাংসদ খবর পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। আটকে পড়ে ১৬জনকে উদ্ধারের আরজি জানান। নরেশবাবুর কথায়, “পুলিশকে বললাম, আমি সাংসদ। ওদের সাহায্য করুন। কিন্তু কোনও কথাই শুনল না। বরং রাজ পৌনে ১২ টায় মেসেজ এল, আমার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শেষপর্যন্ত হিন্দু পড়শিদের সহায়তায় ওই ১৬ জন বেঁচে যান।” এরপরই বিজেপির জোটসঙ্গী অকালি দলের সাংসদ আক্ষেপ করে বলেন, “পুলিশ যদি একজন সাংসদের কথাই যদি না শোনে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা তা ভালোই বুঝতে পারছি।”

[আরও পড়ুন : ‘প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ হলে অমিত শাহর বৈঠক বয়কট করুন’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অধীরের]

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিজেপির সঙ্ঘে অকালি দলের এই সাংসদের সম্পর্কের টানাপোড়েন সামনে এসেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে শরণার্থী মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন নরেশ গুজরাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement