Advertisement
Advertisement
অসম গণ পরিষদ

CAA নিয়ে নয়া সংকট, আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপিরই জোটসঙ্গী

ফের সঙ্গী হারানোর মুখে বিজেপি!

BJP ally AGP now to oppose Citizenship Act, move SC
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 15, 2019 8:40 am
  • Updated:December 15, 2019 9:22 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নয়া সংকটে বিজেপি। সদ্য সংসদে পাশ হওয়া আইনের বিরোধিতায় এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে দলেরই জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদ (Asom Gana Parishad)। প্রথমে এই বিলটিকে সমর্থন করেছিল এজিপি। সংসদেও বিলটির পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের সাংসদরা। কিন্তু, তারপর লাগাতার বিক্ষোভের জেরে অবস্থান বদলেছেন দলের নেতা অতুল বোরা।


অসম গণ পরিষদ শুরু থেকেই অসমীয়া জাতীয়তাবাদকে পুঁজি করে রাজনীতি করে এসেছে। অসমীয়াদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে শুরু থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে আপত্তি ছিল তাঁদের। এর আগে ২০১৬ সালে বিলটি যখন প্রথম লোকসভায় পেশ হল, তখনও তীব্র আপত্তি জানায় এজিপি। এই বিলটি লোকসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পরে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়েও যায় তাঁরা। সেসময় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আর রাজ্যসভায় পাশ করানো যায়নি। সাময়িকভাবে তা ঠান্ডা ঘরে চলে যায় বিলটি। এজিপিও গোঁসা ভুলে ফিরে আসে এনডিএ জোটে। লোকসভা ভোটেও তাঁরা বিজেপির সঙ্গেই লড়াই করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের ফল, CAA নিয়ে ভোলবদল প্রশান্ত কিশোরের!]

মজার কথা হল, দ্বিতীয়বার ক্ষমতা আসার পরই বিজেপি ফের বিলটি সংসদে পাশ করাতে সক্রিয় হয়। কিন্তু, এবারে আর আগের মতো বিরোধিতা করেনি অসম গণ পরিষদ। বরং, পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন নীরব ছিল তারা। এমনকী, সংসদে যখন বিলটিতে ভোটাভুটি হয়, তখনও অসম গণ পরিষদের সাংসদরা বিলটির পক্ষেই ভোট দেন। যদিও, দলেরই একটা অংশ এর বিরোধী ছিল। তাঁদের কথা না শুনেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন দলের নেতা অতুল বোরা। যার জেরে অসমে ব্যাপক ক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।

AGP-V

[আরও পড়ুন: মতবিরোধ শুরু! সাভারকর ইস্যুতে প্রকাশ্যে কংগ্রেস-শিব সেনা দ্বন্দ্ব]

ইতিমধ্যেই, এজিপির অন্তত ৩৫টি দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এমনকী, গুয়াহাটিতে অসম গণ পরিষদের সদর দপ্তরেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় জিনিসপত্র। আক্রান্ত হয়েছেন দলের নেতা-বিধায়করাও। বিক্ষোভের চাপে, একপ্রকার বাধ্য হয়ে ফের অবস্থান বদলাল তারা। শুক্রবার গুয়াহাটিতে এজিপির জরুরি বৈঠক হয়। আর তাতেই ঠিক হয়, দল এরপর থেকে আইনটির বিরোধিতা করবে। এবং এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement