সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলার প্রধান সাক্ষীর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে চারদিন৷ এখনও ফাদারের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা৷ ফাদার কুরিয়াকোসে কাট্টুথারার মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ তাঁর পরিবারের লোকজনেরা৷ অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কেলই এই ঘটনার জন্য দায়ী৷ এমনকী অভিযুক্ত ফাদারকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের৷
চলতি বছরের জুনে এক সন্ন্যাসিনী অভিযোগ করেন, কোট্টায়ামে ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত দু’বছরে মোট ১৩ বার বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কেল ধর্ষণ করে তাঁকে৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই বিশপকে৷ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব হন ফাদার কুরিয়াকোসে কাট্টুথারা৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি৷ বিশপ চার্চের অধিকাংশ সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ করেন ফাদার৷ বিশপের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি৷ তিন সপ্তাহ জেলে ছিলেন বিশপ৷ এরপর জামিনে মুক্তি পান তিনি৷ ফাদারের মুক্তির দিনকয়েক পরই অস্বাভাবিকভাবে মারা যান ফাদার৷ ধর্ষণের মামলায় প্রধান সাক্ষীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বাঁধে রহস্য৷ পুলিশের দাবি, তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না৷ তবে তাঁর মুখে বমি লেগে ছিল৷ যা দেখে পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর আগে প্রচুর পরিমাণে বমি করেছিলেন ফাদার৷ এছাড়াও তাঁর দেহের পাশ থেকে রক্তচাপের ওষুধের শিশিও উদ্ধার করে পুলিশ৷ ফাদারের পরিবারের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিশপ মানসিক চাপ দিতেন ফাদারকে৷ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ৷ নিহত ফাদারের পরিবারের দাবি, দেহ ময়নাতদন্ত করা হলেও, পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে উদাসীন৷ বিশপকে আড়াল করতেই পুলিশ এমন নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের৷
যদিও বিশপের অনুগামীরা ফাদারের পরিবারের অভিযোগ মানতে নারাজ৷ বিশপ আপাতত জামিনে মুক্ত বলেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর অনুগামীদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.