Advertisement
Advertisement
Punjab

ধর্মীয় অবমাননায় হোক যাবজ্জীবন সাজা, রাষ্ট্রপতির কাছে আরজি পাঞ্জাব সরকারের

আগেই এই সংক্রান্ত দু'টি বিল পাশ হয়েছে পাঞ্জাবের বিধানসভায়।

Bills on life term for sacrilege pending, need President assent, Punjab govt urges to Centre। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:December 21, 2021 3:51 pm
  • Updated:December 21, 2021 4:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় অবমাননার ঘটনায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব (Punjab)। ইতিমধ্যে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে সে রাজ্যে। এবার রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রান্ডোয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখলেন ধর্মীয় অবমাননাকারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়টি কার্যকর করার প্রসঙ্গে। তাঁর আরজি, ২০১৮ সালে এই সংক্রান্ত যে দু’টি বিল পাঞ্জাবের বিধানসভায় পাশ হয়েছিল সেগুলি কার্যকর করতে সম্মতি দিন রাষ্ট্রপতি।

চিঠিতে সুখজিন্দর লিখেছেন, ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননা পাঞ্জাবে গুরুতর ইস্যু হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ২৯৫ ও ২৯৫-এ ধারায় এই অপরাধে ৩ বছরের সাজার বিধান থাকলেও, তাঁর মতে এই পরিস্থিতিতে এটি একেবারেই পর্যাপ্ত শাস্তি নয়। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই সংক্রান্ত দু’টি বিল পাশ হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, শ্রীগুরুগ্রন্থ সাহিব, শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতা, কোরান ও বাইবেলের মতো ধর্মগ্রন্থকে আঘাত করে কেউ যদি ধর্মীয় মনোভাবে আঘাত হানতে চান তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে ফের নিশান সাহিবকে অবমাননার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য! গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তর]

চিঠিতে সুখজিন্দর জানিয়েছেন, ”সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসেবে পাঞ্জাবের সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই পরিস্থিতিতে যারা সেই শান্তি ভঙ্গ করতে চাইছে, তাদের কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হোক। আর সেই কারণেই আমার আরজি, রাষ্ট্রপতি যেন অনুগ্রহ করে দ্রুত ওই বিলটিতে সম্মতি দেন।” পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, এর আগেও বহুবারই এই আইন কার্যকর করার আরজি জানিয়েছে তার সরকার।

উল্লেখ্য, ঘটনার শুরু শনিবার। সেদিন উত্তেজনা ছড়ায় স্বর্ণমন্দিরে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সরাসরি সম্প্রচারও করা হচ্ছিল অনুষ্ঠানটি। সেখানে রীতিমাফিক শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় সামগ্রী রাখা ছিল। আচমকাই দেখা যায়, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ব্যারিকেড টপকে সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে। ধর্মীয় গ্রন্থের উপর পা রেখে দেয় সে। এই কাণ্ড দেখে ক্ষিপ্ত জনতা সঙ্গে সঙ্গে তাকে টেনে বের করে আনে। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। গণপিটুনিতে শেষমেশ মৃত্যু হয় তাঁর। পরের দিন কাপুরথালায় একই রকম একটি ঘটনায় জনতার হাতে মার খেয়ে প্রয়াত হন আরও একজন। এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আন্দোলনের মাটি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে, পাঞ্জাব ভোটের আগে নতুন দল গড়লেন কৃষক নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement