সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ মাসে ৮ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা! তাঁর বয়স আবার ৬৫ বছর। এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটল বিহারে (Bihar)। আর প্রতিবারই সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মিলেছে সরকারি সাহায্য। এই ঘটনার তদন্তে নামতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে এল। আট সন্তান তো দূরস্ত, গত ২০ বছরে এক সন্তানেরও জন্ম দেননি ওই মহিলা। প্রসূতি ও সদ্যোজাতের দেখভালের জন্য মিলছে সরকারি সাহায্য। আর সেই অর্থ আত্মসাতের জন্যই এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে জানান, NRHM কেলেঙ্কারিতে চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটি তদন্ত করবে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না।
বিহারের সরকারি রেকর্ড বলছে, বিহারের মুজফ্ফরপুরের শান্তিদেবী ১৩ মাসের মধ্যে আট সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যদিও, পাঁচ নবজাতকের মধ্যে তিনজনকে বাঁচানো যায়নি। এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এক বিরাট কেলেঙ্কারি। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন বা রাষ্ট্রীয় গ্রাম স্বাস্থ্য যোজনার আওতায় বরাদ্দ টাকা তুলতে ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে ১৩ মাসের মধ্যে আটবার গর্ভবতী দেখানো হয়েছে। প্রতিটি ডেলিভারির পর সরকারি বরাদ্দ ১,৪০০ টাকা করে তোলা হয়েছে। কিন্তু, শান্তিদেবী নিজে সেই টাকার এক আনাও পাননি। কেউ বা কারা টাকা তুলে নিয়েছেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। বিষয়টি নজরে আসার পরেই শান্তিদেবীর পরিবার তা ব্যাংকে জানায়।
কিন্তু, শান্তিদেবী একা নন। বিহারে আরও অনেকজনের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটেছে। তেমনই আর একজন লীলা দেবী। বাড়ি ওই একই ব্লকের ছোটি কোঠিয়া গ্রামে। লীলা দেবীকেও দেখানো হয়, ১৩ মাসে তিনিও আট সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, একদিনে দু’বার সন্তান প্রসবও তিনি করেছেন। অথচ গত ১০ বছরে তাঁর কোনও সন্তান হয়নি। অনেক আগেই তিনি পরিবার পরিকল্পনায় অস্ত্রোপচার করিয়ে নিয়েছেন। লীলাদেবীর ক্ষেত্রেও টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরদিনই গায়েব হয়ে গিয়েছে। পাবলিক হেলথ সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার উপেন্দ্র চৌধুরি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। জানান, “দায়িত্বপ্রাপ্ত করণিক ছুটিতে আছেন। তাই কিছু বলা সম্ভব নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.