সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে চিন। ত্রস্ত ভারতও। এই পরিস্থিতিতে চিন ফেরত মুম্বইয়ের দুই বাসিন্দা চিনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। সেই তালিকাতেই এবার যুক্ত হল আরও দুই ভারতীয়র নাম। বিহারের ছাপড়া এবং রাজস্থানের জয়পুরের দু’জন বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত করে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। চিন থেকে ফেরার পর থেকেই স্থানীয় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা।
গবেষণার কাজ বিহারের ছাপড়ার বছর উনত্রিশের ওই তরুণী চিনেই ছিলেন। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ফেরেন তিনি। ঠিক তার পরেরদিন বিহারের ছাপড়ায় পৌঁছন ওই তরুণী। বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর। তাঁকে প্রথমে সরন সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই গবেষককে। তাঁর রক্তের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক মাধবেশ্বর ঝাঁ বলেন, “রোগী নিজে এবং তাঁর পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সিদ্ধান্তে একমত ছিলেন না। আমাদের এখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা নেই। তাই কিছুটা জোর করেই তাঁকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।”
অন্যদিকে, রাজস্থানের জয়পুরেও এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলেই অনুমান করা হয়েছে। তিনিও দু’দিন আগে চিন থেকে ফিরেছেন। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিনড্রোম দেখা গিয়েছে তাঁর শরীরে। ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনাও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত সপ্তাহের ২৬ থেকে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিনেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন ৮০ জন। চিনা স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইউহান অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। ৩০০০ জনের শরীরে মারণ জীবাণু বাসা বেঁধেছে বলে পরীক্ষায় নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। এঁদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ভাইরাস চিনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়ায়। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও। তবে চিনের বাইরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.