সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশিত হল বিহারের (Bihar) জাতিগত গণনার ফলাফল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দাই অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসেই শেষ হয়েছিল জাতিগত জনগণনার কাজ। যদিও এই জনগণনা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিল বিজেপি-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল বিহারের জাতিগত জনগণনা (Caste Census)। আসন্ন জনগণনায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া আর কোনও জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর দাবি ছিল, জনগণনায় আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ থাকলেই সব জাতির মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। তারপর সব শ্রেণির মানুষের প্রয়োজনমতো সরকার প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে।
কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়েই নিজের রাজ্যে জাতিগত জনগণনার ব্যবস্থা করেন নীতীশ কুমার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয় এই গণনা। তবে গণনার বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয় পাটনা হাই কোর্টে। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে যায় এই মামলা। গত ১৮ আগস্ট শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বিহার সরকারকে জাতিগত জনগণনার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যাবে না।
জনগণনার ফলাফল প্রকাশের আগেই নীতীশ বলেন, বিহার সরকারের শরিক দলগুলোকে বৈঠকে ডাকবেন তিনি। এই গণনার প্রেক্ষিতে কী কী নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারে সরকার, সেই নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ বাড়ানোর কথা ভাবতে পারে নীতীশের প্রশাসন। অন্যদিকে, জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন আরজেডি প্রেসিডেন্ট লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.