সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের রাজনৈতিক পালাবদলকে স্বাগত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এ রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, কোনও আঞ্চলিক দল বা জোটসঙ্গীর পক্ষেই বিজেপির সঙ্গে ঘর করা সম্ভব নয়। কারণ বিজেপি আঞ্চলিক দলের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে চায়। সব দখল করাটাই বিজেপির উদ্দেশ্যে।
Another big reason why PM @narendramodi and @AmitShah ran away and SHUT DOWN #ParliamentMonsoonSession FOUR DAYS EARLY https://t.co/JjOq1toBky
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) August 9, 2022
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় বলেন,”বিজেপির (BJP) মতো জোটসঙ্গীর থাকলে কোনও রাজনৈতিক দলই নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না। আসলে বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দলের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না। ওরা সব আঞ্চলিক দলকে শেষ করে দিতে চায়। সেটা তাঁদের জোটসঙ্গী হলেও। তাই বিহারে এই ধরনের কিছু একটা ঘটবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল।” সুখেন্দু জানিয়েছেন, বিহারে তৃণমূলের এখনও কোনও সাংগঠনিক উপস্থিতি নেই। তবে বিহারের এই রদবদলে বাংলার মানুষ খুশি হবেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন আবার সংসদের অধিবেশন দ্রুত শেষ হওয়া এবং বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। এক টুইটে ডেরেক অভিযোগ করেছেন,”নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং অমিত শাহ (Amit Shah) যে চারদিন আগেই সংসদের অধিবেশন বাতিল করে পালিয়ে গেল তার অন্যতম কারণ হল বিহারের রাজনৈতিক টানাপোড়েন।”
বিহারের রাজনৈতিক পালাবদলকে স্বাগত জানিয়েছেন অখিলেশ যাদবও (Akhilesh Yadav)। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবেরও বক্তব্য, বিহার থেকেই বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গেল। ঠিক যেভাবে ৯ আগস্ট ‘ইংরেজ ভারত ছাড়ো’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই বিহার থেকে ‘বিজেপি ভাগাও’ অভিযান শুরু হল। এটা একটা ভাল শুরু। বিহারের প্রবীণ নেতা শরদ যাদবও বলছেন, পুরনো সঙ্গীরা ফের একজোট হচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে। উল্লেখ্য, বিহারের রাজনীতিতে বড়সড় পালাবদল ঘটিয়ে বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি-কংগ্রেসের হাত ধরে ইউপিএতে যোগ দিয়েছেন নীতীশ কুমার। তাতে স্বভাবতই উৎফুল্ল বিরোধী শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.