ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) পশ্চিম চম্পারণে মানুষখেকো আতঙ্ক! জেলার বাল্মীকি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছে বাঘটি (Tiger)। শুক্রবারই সে তার অষ্টম শিকার হিসেবে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। গত কয়েকদিনেই তার আক্রমণে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। অবশেষে উপায়ান্তর না দেখে বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন প্রভাতকুমার গুপ্ত।
শুক্রবার সকালে জঙ্গলের পাশেই উদ্ধার হয় ৩৬ বছরের সঞ্জয় মাহাতোর দেহ। এর ২৪ ঘণ্টা আগেই সিগাডি গ্রামের ১২ বছরের বালিকা বাগাডি কুমারীর ক্ষতবিক্ষত দেহও উদ্ধার হয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে প্রভাতকুমার জানিয়েছেন, ”আমরা বাঘটিকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছি। শ্যুটারদের একটি দল ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বাঘটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
তবে বন দপ্তর জানিয়েছে, বাঘটিকে না মেরে জীবিত অবস্থায় ধরা যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রয়াস ফলপ্রসূ হয়নি। এরপরই বাধ্যত তাকে গুলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কোনও বাঘ নরখাদক তখনই হয়ে ওঠে যখন সে অসুস্থ কিংবা তার বয়স হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই বাঘটি আহত হয়েছিল কোনও অন্য বাঘের সঙ্গে মারামারি করতে গিয়ে। তারপর থেকেই সে সহজ শিকার হিসেবে মানুষকে বেছে নেওয়া শুরু করে। উল্লেখ্য, ওই অভয়ারণ্যে প্রায় ৪০টি বাঘ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাঘের আতঙ্কে ভুগতে থাকা সাধারণ মানুষ দল বেঁধে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে এসেছে। কেন বাঘটিকে ধরা বা মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে না সেই দাবি তুলছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.