সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১১ দিন ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল (Petrol), ডিজেলের দাম। মূল্যবৃদ্ধির জেরে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন লেগেছে। কিন্তু বিজেপির মন্ত্রীর দাবি, পেট্রলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মধ্যবিত্তর উপর কোনও প্রভাবই ফেলবে না। কারণ তাঁরা তো গাড়িতে চড়েন না। বিহারের মন্ত্রী নারায়ণ প্রসাদের আজব দাবিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্যের কথায়, “আমজনতা তো গাড়ি চড়ে না। পেট্রলের দাম বাড়লে তাঁদের কী?” এখানেই থামেননি তিনি। নারায়ণ প্রসাদ আরও বলেন, “পেট্রলের দাম বৃদ্ধিতে আমারও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমজনতা এতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।” উল্লেখ্য, গত ১১ দিন ধরে টানা বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম। শনিবার কলকাতায় পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার পিছু ৯১.৭৮ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার পিছু ৮৪.৫৬ টাকা। দেশের কোথাও কোথাও তো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে জ্বালানি তেল। যার প্রভাব পড়ছে অন্যান্য সামগ্রীর বাজার দরে। অথচ বিজেপির নেতারা বলছেন, জ্বালানির দামবৃদ্ধি নাকি মধ্যবিত্তের হেঁশেলে কোনও প্রভাবই ফেলবে না।
স্বাভাবিকভাবে জ্বালানির দাম একশোর গণ্ডি পার হওয়াতে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। তারই পালটা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে পূর্বতন সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সরাসরি পেট্রল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির কথা মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু কী বিষয়ে তাঁর বক্তব্য তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই তিনি মন্তব্য করেন, পূর্বতন সরকারগুলি দেশের শক্তিক্ষেত্রে আমদানি কম করার দিকে নজর দিলে এই অবস্থা হত না। ভারতকে যে শক্তিক্ষেত্রে আমদানির উপরেই অনেকটা নির্ভর করতে হয় তা বোঝাতে ২০১৯-২০ সালে দেশের প্রয়োজনীয় ৮৫ শতাংশই এবং গ্যাসের ৫৩ শতাংশই আমদানি করতে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এর মাঝে উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী আবার বলেছেন, পরিবেশ দূষণ কমাতেই নাকি জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.