Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিহার

একইসঙ্গে তিনটি সরকারি চাকরি! ৩০ বছর পর ফাঁস কর্মচারীর জারিজুরি

বেকারত্বের বাজারে চমক দিয়েছে এই ‘গুণধর’৷

Bihar man withdraws salaries from three government jobs
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 25, 2019 11:47 am
  • Updated:August 25, 2019 12:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই বাড়ছে চাকরির জগতে প্রতিযোগিতা৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব৷ রীতিমতো নাজেহাল আমজনতা৷ কিন্তু তারই মাঝে এক্কেবারে অন্যরকম চমক বিহারের বাসিন্দা সুরেশ রামের৷ আকালের মাঝেও একইসঙ্গে তিন-তিনটে সরকারি চাকরি করে যাচ্ছিল সে৷ সকলের চোখে ধুলো দিয়ে দিব্যি বেতনও ভোগ করছিল৷ 

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খর্ব নাগরিক অধিকার! প্রতিবাদে পদত্যাগ আইএএস অফিসারের]

সুরেশ রাম নামের ওই ব্যক্তি একইসঙ্গে নির্মাণ দপ্তর, জলবণ্টন দপ্তর, বাঁধ মেরামতি দপ্তরে কাজ করত৷ কিষাণগঞ্জে নির্মাণ দপ্তরের সহকারি ইঞ্জিনিয়র ছিল সুরেশ৷ বাঁকা জেলার বেলহার ব্লকে জলবন্টন দপ্তরে কাজ করত সে। আর তার তৃতীয় কাজটি হল সুপাউলে বাঁধ মেরামতির। প্রথম ১৯৮৮ সালে পাটনায় সরকারি দপ্তর নির্মাণ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন সুরেশ রাম৷ সেখানে কাজ করতে করতেই তার হাতে আসে আরও একটি চিঠি। ১৯৮৯ সালে জলসম্পদ দপ্তরের চাকরিও পেয়ে যান তিনি। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজের জন্যও ডাক পেয়ে যায় সুরেশ। এই তিনটি সরকারি বিভাগের কাজই সমানভাবে করে গিয়েছে সে৷ তিনটি সরকারি দপ্তরে চাকরির জেরে মোটা অঙ্কের বেতনও পকেট ভরত সুরেশ৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: মণিপুর থেকে বাজেয়াপ্ত ৪১০ কোটি টাকার মাদক, গ্রেপ্তার পাঁচ]

কোন কোন দপ্তরে চাকরি করতেন, তা তো নয় জানা গেল৷ কিন্তু প্রশ্ন একটাই কীভাবে একইসঙ্গে তিনটি সরকারি চাকরি সামলাত সুরেশ? তবে তার সহকর্মীদের দাবি, একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গুড বুকেই নাম ছিল সুরেশের৷ কারণ, প্রতিটি চাকরিতেই বেশ কয়েকবার প্রমোশনও পেয়েছে সে৷ গত জুলাই মাসেই ছন্দপতন৷ প্রকাশ্যে চলে আসে ‘দায়িত্ববান’ সরকারি আধিকারিক সুরেশ রামের প্রতারণার কথা৷ কম্প্রিহেনসিভ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ফলের রামের এই তিন সংস্থায় চাকরির যাবতীয় খুঁটিনাটি ধরা পড়ে যায়৷
গত বছরেই বিহার সরকার এই কম্প্রিহেনসিভ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা CMFS প্রথা চালু করে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় আর্থিক কারচুপি ধরতেই মূলত এই নয়া উদ্যোগ। জুলাইতেই কিষাণগঞ্জ নির্মাণ দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি সুরেশ রামকে তার চাকরির সমস্ত কাগজ জমা দিতে বলেন। তাতেই সামনে আসে কারচুপি৷ এরপরই সুরেশ রামের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তবে বর্তমানে ফেরার সে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement