Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bihar Election results 2020

সত্যি হল আশঙ্কাই! তেজস্বীর বাড়া ভাতে ছাই দিল ওয়েইসি-মায়াবতীর জোট, বলছে কংগ্রেস

ছোট দলগুলির ভোট কাটাকাটির সরাসরি সুবিধা পেল এনএডিএ।

Bihar Election results 2020: Mayawati-Asaduddin Owaisi alliance spoils the party for Tejaswi Yadav |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 10, 2020 4:59 pm
  • Updated:November 11, 2020 8:49 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে কঠিন লড়াই দিয়েও শেষপর্যন্ত পারলেন না তেজস্বী যাদব। ফের ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নেতৃত্বাধীন এনডিএর (NDA)। অথচ যাবতীয় বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত করছিল বিহারে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কোন অঙ্কে শেষ মুহূর্তে ঘুরল খেলা?

বিহারে চিরদিনই ভোট হয় জাতপাতের সমীকরণে। এবারে তেজস্বী যাদব চাকরি, সেচ, বন্যা, পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে ভোটে জেতার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত জাতপাতের সমীকরণ থেকে বেরতে পারেনি বিহার। আর এই জাতপাতের সমীকরণে সুবিধা হয়েছে বিজেপি-জেডিইউ জোটের। পাটলিপুত্র, মিথিলাঞ্চলের মতো এলাকায় নিজেদের শক্তি ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি কোশি-সীমাঞ্চলের মতো এলাকা, যেখানে কোনওদিনই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। সেখানেও জেডিইউয়ের দৌলতে ভাল ফল করেছে এনডিএ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় কোশি-সীমাঞ্চলেও এগিয়ে বিজেপি-জেডিইউ জোট। কোশি অঞ্চলে কুড়ির কাছাকাছি আসন পাচ্ছে জেডিইউ-বিজেপি জোট। অন্যদিকে মহাজোট এগিয়ে মাত্র ৭-৮ আসনে। সীমাঞ্চলে ২৪ আসনের মধ্যে এনডিএ জিতল ১৫ আসনে। কংগ্রেস-আরজেডি এগিয়ে মাত্র ৮টি আসনে।এই দুই এলাকায় বিএসপি ১টি আসন, ওয়েইসির এআইএমআইএম এগিয়ে ৫টি আসনে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামান্য উপরে NDA, বহু আসনে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি]

এই কোশি-সীমাঞ্চল এলাকা চিরদিনই আরজেডি-কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত। এই এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ যাদব এবং মুসলিমরা। যারা কিনা চিরাচরিত আরজেডির (RJD) ভোটার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবারে এই ভোটে ভাগ বসিয়েছে তৃতীয় একটি শক্তি। সেই তৃতীয় শক্তি হল কুশওয়াহা, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi), মায়াবতী (Mayawati) এবং পাপ্পু যাদবের জোট। এই ‘গ্র্যান্ড সেকুলার’ জোট এই এলাকায় ভাল অঙ্কে ভোট কাটছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মায়াবতীর বিএসপি এই এলাকায় গোটা দুই আসনে এগিয়েও আছে। ওয়েইসির মিমও (AIMIM) এগিয়ে ৪ আসনে। আরও বেশ কয়েকটি আসনে ভোটের ব্যবধানের থেকে বেশি ভোট এই জোট পেয়েছে।উল্লেখযোগ্যভাবে এই নির্বাচনে ছোট দলগুলি প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এর বেশিরভাগটাই সরকার বিরোধী ভোট। এই ভোটের অর্ধেকও যদি মহাজোট শিবিরে যেত, তাহলে ফলাফল অন্য হতে পারত। বিহারের সীমাঞ্চল এলাকায় ২৪ আসনে মুসলিম জনসংখ্যা ৪০-৭০ শতাংশ। এই আসনগুলি চিরাচারিতভাবে কংগ্রেস (Congress) আরজেডির দখলে যায়। কিন্তু এবার এও ২৫ আসনের মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে এনডিএ। যা হয়তো তাঁরাও প্রত্যাশা করেনি। এর একটা বড় কারণ হল ওয়েইসি। কোশি অঞ্চলে আবার মায়াবতী, পাপ্পু যাদবের দল ধাক্কা দিয়েছে বিরোধী শিবিরকে। সুতরাং সার্বিকভাবে বলা যায়, মায়াবতী-ওয়েইসিদের এই জোটই মহাজোটের বাড়া ভাতে ছাই দিল। 

কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা তথা এরাজ্যের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরিও সেকথাই বলছিলেন। অধীরের দাবি,”ওয়েইসির সঙ্গে বিজেপির জোট কিছুটা সাফল্য পেয়েছে। সব ধর্মনিরপেক্ষ দলের একসঙ্গে লড়াই করা উচিৎ। এবং ওয়েইসির থেকে সাবধান থাকা উচিৎ।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement