সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মহারাষ্ট্রে মন্ত্রক বণ্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আর মন্ত্রিসভাতে সাফ বোঝা গেল শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) প্রভাব। ‘পওয়ার প্লে’র জোরে এনসিপির সবচেয়ে বেশি মন্ত্রক পাওয়ার ব্যপারটা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। মহাজোটের মন্ত্রিত্বের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল সেখানেও প্রভাব খাটিয়েছেন পওয়ার। তাঁর দল এনসিপিই পেয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি। এর মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর, অর্থ দপ্তর, সেচ দপ্তর ও আবাসন দপ্তর।
এনসিপির অনিল দেশমুখ পেয়েছেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র দপ্তর। অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন শরদ পওয়ারের ভাইপো তথা এনসিপির দাদা অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। আবাসন দপ্তরের দায়িত্বে জিতেন্দ্র আওয়াধ এবং সেচ দপ্তরের দায়িত্ব জয়ন্ত পাতিল। খাদ্য সরবরাহও এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন এনসিপির ছগন বুজবল। সব মিলিয়ে মোট ১৬টি দপ্তর পেয়েছে এনসিপি।
শিব সেনার দখলে গিয়েছে ১৫টি দপ্তর। তাঁদের হাতে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরোন্নয়ন ও পরিবহণ। নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন একনাথ শিন্ডে। পরিবহণ ও বিধানসভা বিষয়ক মন্ত্রক পেয়েছেন অনিল পরব।পরিবেশ ও পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। দপ্তর শিল্প, খনি এবং মারাঠি ভাষা দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন সুভাষ দেসাই। কংগ্রেস যে দশটি দপ্তর পেয়েছে তাঁর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব দপ্তর। এই দপ্তরটি গিয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি বালাসাহেব থোরাটের দখলে।
এই দপ্তর বণ্টনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই অবশ্য মহা বিকাশ আগাদির সংসারে রীতিমতো অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক বিধায়কই মন্ত্রিত্ব না পেয়ে অসন্তুষ্ট। তালিকায় সবার উপরে কংগ্রেসের তিনবারের বিধায়ক কৈলাস গোরান্ত্যাল। ইতিমধ্যেই দল থেকে ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় পর্বে মন্ত্রীরা যখন শপথ নিলেন তখন নাম ছিল না কৈলাসের। তারপরই তাঁর সমর্থকরা কংগ্রেস দপ্তর ভাঙচুর করে। এবার নিজেই পদত্যাগ করলেন তিনি। উল্লেখ্য, দপ্তর পছন্দ না হওয়ায় ইতিমধ্যেই শিব সেনার এক সংখ্যালঘু বিধায়ক আব্দুল সাত্তার দল ছেড়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.