সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে ভারত-চিন। এমন আবহেই লাদাখে মোতায়েন ভারতীয় সেনার সমরাস্ত্র ভাণ্ডার আরও মজবুত করছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। যাতে LAC-তে প্রয়োজনে চোখে চোখ রেখে লালফৌজকে প্রত্যুত্তর দিতে পারে ভারতের সেনাবাহিনী। এবার সে কথা মাথায় রেখেই লাদাখের পাহাড়ি এলাকায় তিনটি K-9 বজ্র কামান মোতায়েন করা হয়।
চলতি সপ্তাহে ১০০টি K-9 বজ্র কামান ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে সংযুক্ত হয়। এর মধ্যে তিনটি কামান লাদাখের পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চতায় এই কামানগুলি কেমন কাজ করছে, তার দিকে কড়া নজর রাখছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। কারণ, এই কামানগুলি পাহাড়ি এলাকায় কেমন কাজ করছে তার উপর নির্ভর করবে প্রস্ততকারক সংস্থা নতুন কামান তৈরির বরাত পাবে কিনা।
দক্ষিণ কোরিয়াই নির্মিত কে-৯ বজ্রকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না৷ স্বচালিত হওয়ায় পরিস্থিতি বুঝে গতি ও পথ পালটাতে পারে এই কামানটি৷ জানা গিয়েছে, ‘কে ৯ বজ্র’ নামের বন্দুকটির সর্বোচ্চ পাল্লা ২৮ থেকে ৩৮ কিলোমিটার৷ ‘বার্স্ট মোড’-এ ৩০ সেকেন্ডে তিন রাউন্ড শেল ছুঁড়তে সক্ষম এটি৷ ‘ইনটেন্স মোড’ চালু করলে ৬০ মিনিটে ৬০টি গোলা ছুঁড়তে সক্ষম এই কামান৷ বফর্স কামান দাগতে আটজন সেনার প্রয়োজন হয়৷ তুলনায় মাত্র পাঁচজনের দল ‘বজ্র’ চালাতে সক্ষম৷
প্রসঙ্গত, গত ৩৭ বছর ধরে তাড়া করে বেড়ানো বফর্স কেলেঙ্কারির ভূত নামিয়ে সদ্য এম-৭৭৭ আল্ট্রা লাইট হাউৎজার কামান হাতে পেয়েছে ভারতীয় সেনা৷ সব মিলিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে আমেরিকায় নির্মিত ১৪৫টি এম-৭৭৭ যোগ হবে সেনার ভাণ্ডারে৷ মাত্র ৪ টন ওজন হওয়ায় বিমানে চাপিয়ে এম-৭৭৭’কে সহজেই ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় লাদাখ ও অরুণাচলে ৪,০৫৭ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-চিন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া যাবে৷ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-এ অতন্দ্র প্রহরায় নিযুক্ত থাকবে এম-৭৭৭৷ প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এই হাউৎজার৷ হালকা ওজনের জন্য হেলিকপ্টারে করে সহজেই যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা যায় এটিকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.