Advertisement
Advertisement

মুসলিম শিক্ষক নিয়োগে আন্দোলন প্রত্যাহার পড়ুয়াদের, তবুও BHU-তে কাটছে না জট

সংস্কৃত বিভাগের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা ধরনা প্রত‌্যাহার করে নিলেন।

BHU students call off protest but refuse to attend classes
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 23, 2019 10:26 am
  • Updated:November 23, 2019 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে মুসলিম সহকারী অধ‌্যাপক নিয়োগ নিয়ে চলা বিতর্কের অবসান হয়েও হল না। একদিকে যেমন শুক্রবার সংস্কৃত বিভাগের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা বিগত ১৫ দিন ধরে চলা ধরনা প্রত‌্যাহার করে নিলেন ঠিকই কিন্তু ক্লাসে ফিরলেন না।

পড়ুয়ারা দাবি করেছে, তাঁদের প্রতিবাদ চলবে। ধরনার মাধ‌্যমে নয়, কিন্তু অন‌্য কোনওভাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আগের তুলনায় আরও জটিল হয়ে পড়ল। এতটাই যে, যে ফিরোজ খানকে নিয়ে গোটা বিতর্কের সূত্রপাত, তিনি আদৌ ওই বিশ্ববিদ‌্যালয়ে পড়াতে পারবেন না কি পারবেন না, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। বিক্ষোভকারীদের একজন, চক্রপাণি ওঝা (এবিভিপি সদস‌্য) এদিন বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ‌্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি, অধ‌্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগের বিষয়ে সব নিয়ম-নির্দেশিকা মানা হয়েছিল কি না! ওঁরা আমাদের উত্তর দেওয়ার জন‌্য ১০ দিন সময় চেয়েছেন। আমরা ততদিন অপেক্ষা করব। কিন্তু এখন ক্লাস করব না।’’ বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যায় সংস্কৃত বিভাগের পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়, বন্ধ ডিপার্টমেন্ট পুনরায় খোলার জন‌্য। সংস্কৃত বিভাগের অন‌‌্য অধ‌্যাপকদের উপস্থিতিতে খোলা হয় তালা। ছাত্রদের ক্লাস করতেও বলা হয়। কিন্তু তাঁরা অস্বীকার করেন।

Advertisement

কয়েকদিন আগেই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন ফিরোজ খান। তারপরই দানা বাঁধে বিতর্ক। পড়ুয়াদের একাংশ দাবি করে বসে যে মুসলিম শিক্ষকের কাছ থেকে তাঁরা সংস্কৃতের পাঠ নেবেন না। এই বিরোধীতায় সুর মিলায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। এই উদ্ভট পরিস্থিতিতে কার্যত হতবাক ও আহত হয়ছেন সংস্কৃতে ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারি অধ্যাপক ফিরোজ খান। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করে এসেছি। আমার এলাকায় অন্তত ৩০ শতাংশ মুসলমান থাক সত্বেও কোনও দিন আলাদা করে আমার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। বহু পরিচিত হিন্দু বন্ধু ও প্রবীণরা আমার প্রশংসা করেছেন। আজ যখন আমি পাঠদান করতে যাব, তখন আমার ধর্মকে টেনে আনা হচ্ছে।’ প্রতিবাদী ছাত্রদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেন,’সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনার সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। কুমারসম্ভব বা অভিজ্ঞান শকুন্তলম পড়তে ধমীয় আচরণের কোনও প্রয়োজন নেই। আশা করছি ছাত্ররা তাদের মত পালটাবে।’

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে মহানাটকীয় মোড়, ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement