সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। সেই অপরাধে নব দম্পতিকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের পর জোর করে প্রস্রাব পান করানোর অভিযোগ। অভিযোগ উঠল গৃহবধূর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আক্রান্ত গৃহবধূর পরিবারের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে ভোপালের আলিরাজপুর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আলিরাজপুর এলাকার বছর ২৩-এর যুবক ভালবেসে ২১ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। যুগলের বাড়ি একই এলাকাতে। বিয়ের আগে বাড়িতে জানালে যুবকের পরিবার মেনে নিলেও যুবতীর পরিবার বেঁকে বসে। তাই না জানিয়েই বিয়েটা সম্পন্ন হয়। পরে মিটমাট করে নিতে মেয়ের বাড়ির সঙ্গে কথা বলেন ছেলের বাড়ির লোকজন। তখন ঠিক হয় ৭০ হাজার টাকা ও দুটি ছাগল দিলেই বিয়ে মেনে নেবে গৃহবধূর পরিবার। দাবি মেনে যৌতুক পৌঁছে যায় গৃহবধূর বাপের বাড়িতে। এপর্যন্ত সবটাই ঠিকঠাক ছিল। অভিযোগ, এরপরই পারিবারিক বিষয়ে নাক গলায় খাপ পঞ্চায়েতের লোকজন। এরমধ্যে বিয়ের পর গুজরাটে পালিয়ে যাওয়া নবদম্পতি আলিরাজপুরে ফিরে এসেছেন। সেই খবর পৌঁছায় গৃহবধূর বাপের বাড়িতে। পঞ্চায়েতের সরপঞ্চের নির্দেশ মেনে গত ২৫ জুলাই নবদম্পতিকে অপহরণ করে বাপের বাড়ির আত্মীয়রা। বন্দুক দেখিয়ে যুবকের কাকার বাড়ি থেকে তাঁদের তুলে আনা হয় বলে অভিযোগ। তারপর দু’জনকে নগ্ন করা হয়। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে যুবককে বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর। সেই সঙ্গে গৃহবধূর চুল কেটে নিয়ে তাঁকেও মারধর করা হয়। তারপর শাস্তি হিসেবে দু’জনকে জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানো হয়।
এই ঘটনার পর থানায় গিয়ে বাবা, কাকা ও তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত গৃহবধূ। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.