Advertisement
Advertisement

Breaking News

চন্দ্রশেখর ভীম সেনা

CAA’র প্রতিবাদে নেতৃত্বের জের, ১৪ দিনের জেল ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখরের

খারিজ জামিনের আবেদন।

Bhim Army chief Chandrashekhar has been sent to 14-day judicial custody
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 22, 2019 9:13 am
  • Updated:December 22, 2019 9:47 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আরজি। ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার দিল্লির তিস হাজারি কোর্ট ভীম সেনা প্রধানের জামিনের আবেদন খারিজ করে এই নির্দেশ দেয়।

গত রবিবার থেকেই CAA বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁজে পুড়ছে রাজধানীর রাজপথ। দফায় দফায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আন্দোলন করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। দিল্লির মেট্রো পরিষেবাও প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবারও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার পরিকল্পনা করেন দলিত সংগঠন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। তাতে বাধা দিতে শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল দিল্লি পুলিশ। জামা মসজিদের প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তা আরও আঁটসাট করা হয়। তবে তার মাঝেই জামা মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন চন্দ্রশেখর। তাতেই গলা মেলান বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অপমান! শশী থারুরের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]

এরপর জামা মসজিদের ২ নম্বর গেট দিয়ে বের হওয়া মিছিলে নেতৃত্ব দেন আজাদ। শুক্রবার বিকেলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় তাঁকে আটক করা যায়নি। তবে শনিবার ভোররাতে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জামা মসজিদের সামনে থেকে আটক করা হয় তাঁকে। সেদিন সন্ধেয় তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। আদালতের নির্দেশের পর তাঁকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমকে কোর্টরুমে থাকার অনুমতি দেওয়া না হলেও পুরো মামলার শুনানি হয় ক্যামেরার নজরদারিতে।

যদিও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, “আমি উসকানিমূলক বক্তৃতা দিচ্ছিলাম, পুলিশের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। আমরা সংবিধান রক্ষার জন্য আন্দোলন করছি। তা যদি হিংসাত্মক হয়ে থাকে, তাহলে গোটা দেশই দোষী। জামা মসজিদ আর দিল্লি গেটের মধ্যে দূরত্ব ২ কিলোমিটার। আমি দিল্লি গেট বা দড়িয়াগঞ্জে ছিলাম না। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙায় আমার কোনও ভূমিকা নেই। মানুষের হয়ে সুর চড়ানোই আমার একমাত্র অপরাধ।”

[আরও পড়ুন: CAA নিয়ে বোঝাতে ১০ দিনে তিন কোটি পরিবারের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement