সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদ-বিক্ষোভে জ্বলছে প্রায় গোটা দেশ। শুক্রবারের অশান্তির পর শনিবারও উত্তপ্ত রাজধানী। এদিন সকালে জামা মসজিদের সামনে থেকে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করা হয়। এছাড়াও দরিয়াগঞ্জে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে তিন নাবালক-সহ কমপক্ষে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পাশাপাশি নাবালকদের আটক করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত রবিবার থেকেই CAA বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁজে পুড়ছে রাজধানীর রাজপথ। দফায় দফায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আন্দোলন করেন। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। দিল্লির মেট্রো পরিষেবাও প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। শুক্রবারও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার পরিকল্পনা করে দলিত সংগঠন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। তাতে বাধা দিতে শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল দিল্লি পুলিশ। জামা মসজিদের প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। তবে তারই মাঝে জামা মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন। তাতেই গলা মেলান বিক্ষোভকারীরা। এরপর জামা মসজিদের ২ নম্বর গেট দিয়ে মিছিলও বের করা হয়। তাতেই নেতৃত্ব দেন আজাজ। তাঁকে আটক করা হয়েছে বলেই আচমকা খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গ্রেপ্তারির খবরের যে কোনও সত্যতা নেই তা টুইট করেই সাফ জানিয়ে দেন ভীম সেনা প্রধান। বিকেলের দিকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবহার করা হয় জলকামানও। অশান্তির মাঝে কোনওক্রমে জামা মসজিদের ভিতরে ঢুকে পড়েন চন্দ্রশেখর আজাদ।
আন্দোলনের মাঝে শুক্রবার শেষ পর্যন্ত আটক করা যায়নি ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে। তবে শনিবার ভোররাতে জামা মসজিদের সামনে থেকে আটক করা হয় তাকে। তিনি বলেন, “আমরা শুক্রবার সকাল থেকে জামা মসজিদের ভিতরে আন্দোলনে শামিল হয়েছি। তবে হিংসাত্মক আন্দোলনের পক্ষপাতী নই। হিংসাত্মক আন্দোলনে আমাদের কেউ জড়িতও নয়।” আটক করা হয় নাবালক-সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। অভিভাবকদের হাতে ওই নাবালকদের তুলে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.