Advertisement
Advertisement
Bharat Chodo Yatra

ভারত জোড়ো যাত্রা: গান্ধী পরিবারের ধাক্কায় ছত্রভঙ্গ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী, সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেন রাহুল

বিক্ষুব্ধদের অনেকেই এখন রাহুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে মরিয়া।

Bharat Jodo Yatra: Congress MP Rahul Gandhi responded on the question of party president post | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 9, 2022 7:57 pm
  • Updated:September 9, 2022 7:57 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাহুলের এক ধাক্কায় ছত্রভঙ্গ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। নিজেদের মধ্যেই কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত জি-২৩ (G-23) সদস্যরা। উলটে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু করেছে বিক্ষুব্ধগোষ্ঠীর সদস্যরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ডাকে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় জড়িত থাকতে তৎপর হওয়ার পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধরা।

অনেকে আবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সরাসরি পদযাত্রায় পা মিলিয়েছেন। দলের সভাপতি নির্বাচনের দিন যতোই এগিয়ে আসছে ততই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা গান্ধী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে তৎপর হচ্ছে। তবে এখনও মনীশ তেওয়ারি ও বিরাপ্পা মইলির মতো কয়েকজন ‘ভাঙবো তবু মচকাব না’ অবস্থান নিয়েই চলছেন। ভারত জোড়ো (Bharat Jodo) যাত্রায় অংশ নেওয়া দূরঅস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেও ছাপ রাখছেন না। এর মধ্যেই শুক্রবার সভাপতি নির্বাচন নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তামিলনাড়ুতে পদযাত্রা শুরুর আগে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কী করবেন। তবে সভাপতি নির্বাচন ঘোষণার পরই সেটা জানাবেন। এই মূহূর্তে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র বাইরে কিছু ভাবছেন না। রাহুল গান্ধীই যে আগামীদিনের কংগ্রেসের দায়িত্বে আসবেন তা প্রমাণে মরিয়া জয়রাম রমেশ, কে সি বেনুগোপালরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪১ হাজারি টি-শার্ট পরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হাঁটছেন রাহুল! কটাক্ষ বিজেপির]

গোষ্ঠীকোন্দল বিনা কংগ্রেস আর ‘সোনার পাথর বাটি’। কিন্তু ভারত জোড়ো যাত্রাকে সামনে রেখে দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী রাজনীতি অনেকটাই কমিয়ে আনা গিয়েছে বলে মনে করছেন কংগ্রেসের (Congress) তাবড় নেতৃত্ব। প্রথমে কপিল সিব্বল ও পরে গুলাম নবি আজাদের মতো প্রথম সারির বিক্ষুব্ধ নেতারা দলত্যাগ করায় বিক্ষুব্ধদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে এআইসিসির (AICC) একাংশ। কারণ এখনও দলে থাকা জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে একমাত্র মনীশ তেওয়ারির মতো দু-একজন ছাড়া বাকিরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। যেমন শশী থারুর (Shashi Tharoor) উদ্বোধনের দিন কন্যাকুমারিতে হাজির থেকে বক্তব্যও পেশ করেন ও মুকুল ওয়াসনিক (Mukul Wasnik) নিজে রাহুলের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতের]

গত বৃহস্পতিবারই মুকুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। আরেক বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মা (Ananda Sharma) শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন। ভুপেন্দ্র সিং হুডা নিজের রাজে্য পদযাত্রার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। রেনুকা চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন। এই মূহূর্তে দলে কার্যত কোনঠাসা রাজ বব্বর। তিনিও কংগ্রেসের এই উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement