প্রতীকী ছবি
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এর মধ্যেই কেন্দ্রের ভারত ব্র্যান্ড প্রকল্পের অধীনে আটা ও চাল বিক্রি করা হয় তারও দাম বেড়ে গেল। এতে মধ্যবিত্তের চাপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক এবং খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী দ্বিতীয় পর্যায়ের ভারত ব্র্যান্ডের আটা ও চাল বিক্রির সূচনা করেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায় প্রথম পর্যায়ে বিক্রি হওয়া আটার দাম ২৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি কেজি হলেও এবারে তা বেড়ে কেজি প্রতি ৩০ টাকা হয়ে গিয়েছে। একইভাবে চালের দামও ২৯ টাকা প্রতি কেজি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ টাকা হয়েছে। ভারত ব্র্যান্ডের আটা, চাল-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের বিক্রি নিয়ে দেশের রেশন দোকানদাররা আগেই কালোবাজারির আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁদের দাবি, দেশের রেশন দোকানগুলো থেকে ভারত ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হলেই সাধারাণ মানুষ তার সুবিধা পাবেন।
এই প্রেক্ষিতেই এদিন দেশের রেশন দোকানগুলো থেকে ডাল ও পিঁয়াজ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানায় রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠন, অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশেন। আজ দিল্লিতে যোশীর সঙ্গে দেখা করে এই দাবিই জানান সংগঠনের সাধারাণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। কেন্দ্রের তরফ থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মাঝে মাঝে মোবাইল ভ্যান মারফত রাস্তায় রাস্তায় টমেটো, পিঁয়াজে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। সেই ব্যবস্থা যে কার্যকরী নয় তাতে যে কালোবাজারির প্রভূত সম্ভাবনা থাকে সেই বিষয়টিই মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন বিশ্বম্ভর বসু। তাই রেশন দোকানের মাধ্যমে ভারত ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করলে সাধারণ মানুষ সুবিধা পাবেন বলেই দাবি তাঁর। এর পাশাপাশি বাংলায় যে এদিনই সার্ভার ডাউন থাকার কারণে রেশন দেওয়া যায়নি সেই বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.