সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস (Hathras Gang Rape), বলরামপুর, বুলন্দশহর, আজমগড়। একের পর পর এক ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের ঘটনার পরও শিক্ষা নেয়নি উত্তরপ্রদেশ। ফের এক দলিতকন্যাকে ধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল। এবারের ঘটনাস্থল ভাদোহীর তিওয়ারিপুর। খেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল দলিত নাবালিকার দেহ। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
नाबलिक आंचल पुत्री मुकेश हरिजन उम्र करीब 14 वर्ष की हत्या अज्ञात व्यक्तियों द्वारा ईट पत्थर से मारकर हत्या कर दी गई है । थाना गोपीगंज पुलिस पुलिस द्वारा घटना के सम्बन्ध में हत्या का अभियोग पंजीकृत किया गया है, उक्त हत्या की घटना के सम्बन्ध में पुलिस अधीक्षक की बाईट। @uppolic pic.twitter.com/KcpIVvefhh
— BHADOHI POLICE (@bhadohipolice) October 1, 2020
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, ভাদোহীর গোপীগঞ্জ থানার তিওয়ারিপুর গ্রামের বাসিন্দা ১৪ বছরের ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে শৌচকর্মের জন্য বাড়ির বাইরে মাঠে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তারপর দীর্ঘক্ষণ বাড়ি ফেরেনি। মেয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে তার পরিবার। প্রথমে একটি খেতের মধ্যে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে নাবালিকার ভাই। সেই লোকজন জড়ো করে দেহটি উদ্ধার করে। রীতিমতো মাথা থেতলে দেওয়া হয়েছে ভারী কোনও বস্তুর আঘাতে। পরিবারের দাবি, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মুখ বন্ধ রাখার জন্য খুন করা হয়েছে। পুলিশেরও প্রাথমিক ধারণা সেটাই। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, ধর্ষণ না করা হলে ওই নাবালিকাকে খুন করার কোনও কারণ নেই। মাত্র ১৪ বছরের ওই নাবালিকার কোনও শত্রু থাকার কথা নই, তাহলে কেন তাকে খুন করা হবে? নিশ্চয়ই ধর্ষণ করে কুকর্ম চাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নাবালিকাকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
তাই যদি হয়, তাহলে গত ৩ দিনে এটি উত্তরপ্রদেশের চতুর্থ ধর্ষণের ঘটনা। এর আগে মঙ্গলবার বলরামপুরে (Balarampur Gang Rape) মাদক খাইয়ে এক দলিত যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। নৃশংসতা দেখা গিয়েছে বুলন্দশহর (Bulandshahr) এবং আজমগড়েও (Azamgarh)। বুলন্দশহরে ১৪ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের। অন্যদিকে আজমগড়ে নির্যাতিতার বয়স মাত্র ৮ বছর। ওই শিশুকন্যাকে স্নান করানোর আছিলায় ধর্ষণ করেছে ২০ বছরের এক প্রতিবেশী যুবক। প্রশ্ন উঠছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার পরও কেন ঘুম ভাঙছে না প্রশাসনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.