ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বিজিবি’র গুলিতে বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের বৈঠকের পর কোর্ট মার্শাল হচ্ছে অভিযুক্ত বিজিবি কর্মীর। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র ডিআইজি ও সেক্টরের বিজিবি কর্তাকেও সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিএসএফও চালাচ্ছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত। রবিবার দক্ষিণেশ্বরে বিএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। প্রশ্নের উত্তরে বিএসএফের ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া এই তথ্য জানিয়ে বলেন, গত অক্টোবর মাসে বিএসএফের উপর বাংলাদেশের বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)—র এক হাবিলদারের গুলি চালানোর ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রম বলা চলে। কারণ, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এই ক্ষেত্রে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যদি আবার ঘটে, তাহলে কিন্তু বিএসএফের রণনীতিও তৈরি রয়েছে। কারণ বিএসএফও কারও চেয়ে কম নয়। আগামী কিছুদিনের মধে্যই দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর ডিজি বৈঠকে বসছেন। বিএসএফ ও বিজিবির ডিজিদের বৈঠকে এই গুলি চালানোর প্রসঙ্গটি উঠে আসবে।
গত অক্টোবরের মাঝামাঝি মুর্শিদাবাদের কয়েকজন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে ধরতে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। বিজিবি তাঁদের আটক করেন। একজন মৎস্যজীবীকে আটকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দুই দেশের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আয়োজন হয়। চার বিএসএফ কর্মী ও আধিকারিক এবং একজন এলাকার বাসিন্দা বৈঠক সেরে ফিরে আসার সময়ই তাঁদের উপর গুলি চালান বিজিবি’র এক হাবিলদার। গুলিতে মৃতু্য হয় ওই বিএসএফ কর্মীর ও আহত হন এক আধিকারিক। এই ঘটনা দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিএসএফের কর্তা জানান, এর পর দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাদের মধ্যে ২২ অক্টোবর প্রথম বৈঠক ও ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় বৈঠক হয়। এর পর বিজিবি তাদের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনার পর কিছুদিনের জন্য দু’দেশের যৌথ তল্লাশি বন্ধ ছিল। এখনও ওই মৎস্যজীবী বাংলাদেশে ধৃত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ে দু’দেশের ডিজির মধে্য আলোচনা হতে পারে। এদিকে, গুলিতে বিএসএফ কর্মীর মৃতু্যর জেরে প্রতে্যকটি ব্যাটালিয়নে এসওপি বা বিশেষ নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। প্রতে্যকটি ব্যাটালিয়নে নকল ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মহড়ার মাধ্যমে কর্মী ও অফিসারদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.