সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি : ‘একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ভোটাররা আপনাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরই ঠকাচ্ছেন আপনারা।’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে এভাবেই সরকারপক্ষকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
সোমবার লোকসভায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ নিজের চেনা স্টাইলে একের পর এক তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। বলেন, ‘ভুলে যাবেন না, শুধু হিন্দুরাই আপনাদের ভোট দেননি। সবকা সাথ, সবকা বিকাশে ভরসা রেখে আপনাদের পুরনো রেকর্ড ভুলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভোট দিয়েছে। আজ তাদের সঙ্গে আপনারা প্রতারণা করছেন। যে যুবক চাকরির আশায় ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতারিত করছেন। যে ছোট ব্যবসায়ীরা ভাল বাজারের কথা ভেবে ভোট দিয়েছিল, নোটবন্দি-সহ একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের ঠকাচ্ছেন। গুজরাতে যেসব আদিবাসীরা মূর্তি তৈরি করতে জমি দিয়েছিল, শৌচাগার কর্মীর চাকরি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সব থেকে বড় কথা যে নাগরিকরা ভোট দিয়ে আপনাদের সরকার তৈরি করল, নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন আপনারা। রাম, যুধিষ্ঠিরের কথা বলেন, ধর্মপুত্রদের কথা বলেন। ধর্মের কথা বলেন। ধর্ম কী, তা মনে আছে তো?’
মহুয়ার টার্গেট থেকে বাদ যাননি বিজেপির হয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমর্থনে বক্তব্য রাখা ‘বিতর্কিত’ বিজেপি সাংসদ পরবেশ সাহিব সিং বর্মাও। প্রথমেই তিনি উল্লেখ করেন নির্বাসন কমিশনের তাঁকে সাসপেন্ড করার ঘটনাকে। বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যাঁকে প্রচার করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে, আপনারা তাঁকে দিয়েই সুচারুভাবে দিল্লি নির্বাচনের প্রচার করিয়ে নিলেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার পরবেশের বক্তব্যের এক বড় অংশ জুড়ে ছিল দিল্লির জন্য সাম্প্রতিক বাজেটে কী কী বরাদ্দ হয়েছে তার কথা। বক্তব্য রাখার সময় নিজের ‘বিতর্কিত ইমেজ’ দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি পরবেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নাম করে তাঁর পিতার পুরনো পরিচয় উল্লেখ করেন। বলেন, ‘আপনারা ভুলে যাচ্ছে এটা রাজীব ফিরোজ খানের নয়, নরেন্দ্র মোদির ভারতবর্ষ।’ বিরোধীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘সবাই মিলে জয় শ্রীরাম বলুন। সব পাপ ধুয়ে যাবে।’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় মঙ্গলবার বক্তব্য রাখার কথা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়ের। যা খবর, তাতে তাঁর বক্তব্যে থাকতে পারে CAA, NRC, NPR সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.