Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bengaluru

ঝর্ণা দেখতে গিয়ে বিপত্তি, পাথরে পা পিছলে গুহাবন্দি তরুণী! ২২ ঘণ্টা অভিযানে উদ্ধার

এক পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা।

Bengaluru teen rescued after 22-hour ordeal in dark water
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:October 29, 2024 2:25 pm
  • Updated:October 29, 2024 2:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাথরের ফাঁকে পড়ে বুক জলের মধ্যে টানা ২২ ঘণ্টা আটকে থাকার পর অবশেষে উদ্ধার। কার্যত কপালজোরে মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা পেলেন বছর উনিশের তরণী হামসা গৌড়া। সোমবার কর্নাটকের তামাকুরুর মাইডালা হ্রদ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বান্ধবীর সঙ্গে তুমাকুরুর মাইডালা হ্রদ দেখতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই তরুণী। সেখানে ঝর্ণার কাছে এক পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যান হামসা। দুই পাথরের ফাঁকে পড়ে অনেকখানি ভেতরে গুহায় আটকে পড়েন তিনি। এই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছলে রবিবার দুপুর থেকে তাঁর খোঁজে অভিযানে নামে দমকল ও পুলিশের ৬০ জনের একটি দল। প্রতিটি পাথরের ফাঁকে চলে তল্লাশি। তবে রাত নেমে যাওয়ায় আর উদ্ধারকাজ সম্ভব হয়নি। সোমবার স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে সকালে ফের শুরু হয় উদ্ধারের চেষ্টা।

দমকল আধিকারিক শশীধর কেপি বলেন, ওই অংশের প্রতিটি ফাটলে জল জমে থাকার জেরে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল উদ্ধারকাজ। এই অবস্থায় পাথর ও কংক্রিট বোঝাই বস্তা রেখে জল কিছুক্ষণের জন্য আটকে রেখে শুরু হয় কাজ। পাথরের ফাটলে নেমে তরুণীর নাম ধরে ডাকতে থাকেন উদ্ধারকারীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর ক্ষীণ আওয়াজ কানে আসে উদ্ধারকারীদের। এর পর দুপুর ১২.৩০ নাগাদ চারজন উদ্ধারকারী নিচে নেমে উদ্ধার করে আনেন হামসাকে। প্রায় ২২ ঘণ্টা পাথরের ফাঁকে জলের মধ্যে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা সম্ভব হয় তরুণীকে। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন হামসা। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।

হাসপাতাল থেকেই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামসা বলেন, “আচমকা পা পিছলে তলিয়ে যাই। চোখ খুলে দেখি, চারপাশে শুধু অন্ধকার। শুধু জলের শব্দ ছাড়া কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। তবে বুঝতে পারছিলাম যেখানে আমি পড়েছি, সেখান থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছি আমি। এভাবে দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পর আমি শুনতে পাচ্ছিলাম উপরে কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে। ফলে কিছুটা আশ্বস্ত হই আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে শশীধর বলেন, “আমাদের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধারের পর হামসার মা যখন মেয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠেন ওই দৃশ্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের ছিল। তবে আমাদের চেষ্টার পাশাপাশি হামসার আত্মবিশ্বাস ও সাহস প্রশংসনীয়। অন্ধকার গুহায় এতক্ষণ কাটানো মুখের কথা নয়।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার জেরে তরুণীর শরীর সাদা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শরীরের নানা জায়গায় ছোট বড় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement