ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনে অনেক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, মাকে খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সম্প্রতি এই পাশবিক ঘটনাটাই ঘটেছে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর আহমেদপুর এলাকায়। মাকে ছুরি মেরে খুনের পর ছোটভাই ছুরি দিয়ে লাগাতার কোপায় ওই যুবতী। তারপর সে মারা গিয়েছে ভেবে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় আন্দামান (Andaman)। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ওই যুবতীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে পোর্ট ব্লেয়ারের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর আহমেদপুর এলাকায় ৫৪ বছর বয়সী মা ও ছোটভাইয়ের সঙ্গে থাকত বছর ৩০-এর ওই যুবতী অমৃতা। একটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজও করত। কিছুদিন আগে শ্রীধর রাও বলে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। বিষয়টি জানতে পারার পরেই এই বিষয়ে আপত্তি জানান যুবতীটির মা ও তার ভাই। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে গন্ডগোলও চলছিল। এরপরই নাকি মা ও ভাইকে খুনের ছক কষে সে। আর সেই পরিকল্পনা মতো খুনের পর প্রেমিকের সঙ্গে আন্দামানে যাওয়ার টিকিটও কাটে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত রবিবার সকালে ওই যুবতীর বাড়ির বাইরে বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল ওই বন্ধুটি। ততক্ষণে ৫৪ বছরের মাকে ছুরি দিয়ে খুনের পর ছোটভাইকেও সেই ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়ে গিয়েছে যুবতীটির। তারপর ভাই মারা গিয়েছে ভেবে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। তারপর বন্ধু শ্রীধরের বাইকের পিছনে বসে সোজা বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। আর সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে।
পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবতীর ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন স্থানীয়রা। আর তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতী বাজারে প্রচুর ধার করে ফেলেছিল। বাড়িতে এসে পাওনাদাররাও তাগাদা করছিল। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই মা ও ভাইকে খুন করে এলাকা ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা নেয়। যদিও এই বিষয়টি ঠিক মানতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। খুনের বিষয়টি সঙ্গে ওই যুবতীটির পুরুষবন্ধুটির কী যোগ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.