সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষের আত্মহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ ছিল, অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েই নিজেকে শেষ করে দেন অতুল। এই নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবার নিকিতাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাঁর মা নিশা সিংহানিয়া ও ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াকেও আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা উত্তরপ্রদেশের জৈনপুরের বাড়িতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের আটক করা হয়।
বেঙ্গালুরুর একটি আবাসন থেকে প্রযুক্তি কর্মী অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয় ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া, শ্যালক অনুরাগ-সহ স্ত্রীর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুবক। প্রতিটি পাতায় লেখা, ‘বিচার এখনও বাকি!’ মৃত্যুর আগে ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন অতুল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিচার না মেলা পর্যন্ত তোমরা যেন আমার অস্থি বিসর্জন কোরো না!’
দাবি, স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যরা অতুলের বিরুদ্ধে একাধিক ‘মিথ্যে’ অভিযোগ করেছিলেন। এরপর পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায় যুবকের বিপক্ষেই গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই চাপের মুখেই আত্মহননের পথ বেছে নেন যুবক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহার এবং খোরপোশের অধিকার নিয়ে। জানা গিয়েছে, যদিও অতুলের স্ত্রী বড় চাকরি করেন, তবুও মামলার জেরে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হত। অতুলের দাবি ছিল, নিকিতা মাসে ২ লক্ষ টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন তাঁর ও তাঁদের চার বছরের পুত্রের জন্য। ২০২০ সাল থেকেই এই নিয়ে তিনি ও তাঁর মা-ভাই লাগাতার চাপ দিয়ে আসছিলেন বলেই সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছিলেন অতুল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.