সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই বেঙ্গালুরু। বর্ষবরণের নাম চূড়ান্ত অভব্যতা, উচ্ছৃঙ্খলতা, শ্লীলতাহানি। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনির পরও এড়ানো গেল না লজ্জা। পুলিশের চোখের আড়ালে চলল অসভ্যতা।
[বর্ষবরণের রাতে ফাঁকা ফ্ল্যাটে ‘সফিস্টিকেটেড’ মধুচক্র, সতর্ক পুলিশ]
এক বছর আগে এমনই এক বর্বর রাতের সাক্ষী ছিল উদ্যান নগরী। কার্যত গণ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল কর্ণাটকের রাজধানীতে। ২০১৬-র ৩১ ডিসেম্বরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে নেমেছিল রাজ্য পুলিশ। যে সব এলাকা বিপজ্জনক হিসাবে পরিচিত সেখানে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি ড্রোন ও সিসি ক্যামেরায় ছিল নজরদারি। এমনকী গণ্ডগোল এড়াতে বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু জায়গায় মদ বিক্রিও বন্ধ রাখা হয়েছিল। মহিলারা যাতে নিরাপদ থাকেন তারা জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো প্রচার চলেছিল। তবুও এড়ানো গেল না লজ্জা। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ সামনে না এলেও নতুন বছরের সকালে মহিলার সঙ্গে যৌন হেনস্তার ছবি প্রকাশ্যে আসে। একটি ভিডিওয় দেখা যায় এক কিশোরী রাস্তায় কাঁদছেন। বর্ষবরণের উৎসবে বেরিয়ে নির্যাতিতাকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তবে এদিন সকাল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ভিডিও দেখে মনে করা হচ্ছে বেঙ্গালুরুর এম জি রোড এবং ব্রিগেড রোডের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
[ভাল-খারাপ ছোঁয়া বোঝাতে তথ্যচিত্র স্কুলে, মেট্রোতেও সচেতনতা]
বিষয়টি একেবারে হালকাভাবে দেখছেন না বেঙ্গালুরু পুলিশ। ইতিমধ্যে ওই ভিডিওর সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বছরের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিল। এম জি রোড এলাকায় বর্ষবরণের রাতে ছিলেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। তাদের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছিল ১৬০০ পুলিশকর্মীকে। অর্থাৎ প্রতি ৪০ জনের নিরাপত্তায় ছিল একজন পুলিশ। এরপরও কেন এই লজ্জার ঘটনা এড়ানো গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমন চলতে থাকলে মহিলারা রাস্তায় বেরোতে ভয় পাবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এই লজ্জা নিয়েই আরও একটা বছর শুরু করল বেঙ্গালুরু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.