সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে হয়েছিল ৯ মাস। এই কয়েক মাসে যৌনতায় (Intimacy) রাজি হননি স্ত্রী। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে খুন করল স্বামী। তারপর স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করল পুলিশে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ইলেকট্রিশিয়ান। বিহারের (Bihar) ওই ব্যক্তি বেঙ্গালুরুতে থাকত বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম পৃথ্বীরাজ সিং। তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জ্যোতি কুমারীর। পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপরে রাগ বাড়ছিল তার। সে জানতে পেরেছিল জ্যোতি বয়স নিয়ে প্রতারণা করেছে। বিয়ের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বয়স ২৮। কিন্তু পরে জানা যায়, তাঁর আসল বয়স ৩৮।
এপ্রসঙ্গে পুলিশকে পৃথ্বীরাজ জানিয়েছে, ”আমরা জানতে পেরেছিলাম জ্যোতির বয়স ৩৮। আমার থেকে ১০ বছরের বড়। ও কখনও আমার সঙ্গে যৌনতা করতে চাইনি। উলটে আমাকে ও আমার মা-বাবাকে গালিগালাজ করত।”
কয়েকদিন আগেই পৃথ্বীরাজ চক্রান্ত করে জ্যোতিকে খুন করার। এই কাজে তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য বিহার থেকে ডেকে পাঠায় বন্ধু সমীর কুমারকে। গত ৩ আগস্ট স্ত্রীকে নিয়ে উডাপি যায় সে। সেখানেই শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁকে। দেহটি ফেলে আসে একটি খাদে। পরের দিন নিজেই পুলিশে স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে।
পুলিশের কাছে পৃথ্বীরাজ বলেছিল, তার স্ত্রী মাঝে মাঝেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেন। কিন্তু এবার তিনি মোবাইলটিও বন্ধ করে রেখেছেন। পুলিশ তদন্তে নামে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের ধারণা হয়, পৃথ্বীরাজের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জ্যোতির দেহটিও উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.