সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্র সরকারের বক্তব্য, দেশে ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন বাড়াতে রাতারাতি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দেশকে ‘ডিজিটালাইজড’ করার প্রশ্নে সন্দিহান বিরোধীরা। ডিজিটালাইজশনের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছে তারা। তবে বর্তমান পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে শহরকে ডিজিটাল করে তোলার ব্যাপারে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী বেঙ্গালুরুর বণিকমহল। আত্মবিশ্বাস এতটাই যে, আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে কর্নাটকের রাজধানী।
[বাতিলেই ভর্তি ঘর, নয়া নোট ছাপানো বন্ধ করল RBI]
নগদের নয়। সারা দেশের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হোক ডিজিটাল মাধ্যমে। এটাই চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা তো এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন। কিন্তু, সারা বিশ্বের নিরিখে পরিস্থিতিটা ঠিক কী? ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী বণিকমহল? তা নিয়েই একটি সমীক্ষা করে ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ব্যুরো নামে এক ব্রিটিশ সংস্থা। সেই তালিকায় প্রথম চারটি শহরের মধ্যে তিনটি শহরই ভারতের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তালিকার শীর্ষে কংগ্রেসশাসিত কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো। তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে যথাক্রমে মুম্বই ও নয়াদিল্লি।
[বেকারদের ক্ষোভকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক উসকানি, মোদিকে তোপ রাহুলের]
ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ভারতের শহরগুলিতে পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতা, দূষণ, দারিদ্রের মতো নানা সমস্যা রয়েছে। তবে ডিজিটাল হয়ে ওঠার প্রশ্নে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা ও ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি আশাবাদী। বিশ্বের যে সমস্ত শহরের এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে বেঙ্গালুরুর ব্যবসায়ীরাই শহরের ডিজিটাল পরিকাঠামো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন। ডিজিটালাইজেশনের প্রশ্নে খুব একটা পিছিয়ে নেই মুম্বই বা নয়াদিল্লিও। বস্তুত, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগামী দিনে ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চালুর প্রশ্নে প্রথম বিশ্বের শহরগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে এশিয়ার শহরগুলি। তালিকায় প্রথমে পাঁচে সান ফ্রান্সিসকো বাদে প্রথম বিশ্বের কোনও শহরই নেই। প্রথম দশে স্থান পেয়েছে শুধুমাত্র মাদ্রিদ ও লন্ডন।
[কর ফাঁকির অভিযোগে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের দপ্তরে আয়কর হানা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.