Advertisement
Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ব্রাত্য ‘বাংলা’, প্রতিবাদে সরব বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল

৬টি আঞ্চলিক ভাষায় পড়া যাবে সুপ্রিম রায়, তালিকায় নেই বাংলার নাম।

Bengali not included among languages in Supreme Court site
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 4, 2019 5:51 pm
  • Updated:July 4, 2019 5:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের নাম বদলে কেন্দ্রের আপত্তির পর জাতীয় স্তরে ফের ব্রাত্য বাংলা। এবার বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগ খোদ সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে। বিতর্কের সূত্রপাত সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকা থেকে। যাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ইংরেজি ছাড়াও আরও ৬টি ভাষায় জানা যাবে সুপ্রিম কোর্টের যাবতীয় কার্যবিবরণী। ওয়েবসাইটে শীর্ষ আদালতের রায় আপলোড করা হবে এই ছ’টি ভাষাতেও। কিন্তু, এই ৬টি ভাষার তালিকায় ঠাঁই হয়নি বাংলার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ইংরেজির পাশাপাশি অহমিয়া, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি, তেলুগু ও ওড়িয়া ভাষাতে মিলবে শীর্ষ আদালতের রায়৷

[আরও পড়ুন: ফের মেট্রোয় বিপত্তি, এবার রেক ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে আটকে গেল যাত্রীর পা]

চলতি মাসের শেষে এই সুবিধা শুরু হয়ে যাবে। তাঁর আগেই এই তালিকায় বাংলাকে অন্তর্ভু্ক্ত করতে চাইছে এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি৷ বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। চিঠি পাঠাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। আঞ্চলিক ভাষার তালিকায় বাংলা ঢোকানোর জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা।এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করাতে অনুরোধ করেছেন বিরোধীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যের কোথাও রাস্তা আটকে দুর্গাপুজো করা যাবে না, কড়া নির্দেশ নবান্নের]

মুখ্যমন্ত্রীরও এই ব্যাপারে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। সূত্রের খবর, এর পরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই আবদুল মান্নানের ঘরে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এই নিয়ে বৈঠক করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের নাম বদল ইস্যুতে কেন্দ্রের আপত্তি নিয়েও একজোট হয়েছিল শাসক ও বিরোধী শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ‘বাংলা’ নামে কেন্দ্রের সায় না দেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। তারপর সুপ্রিম নির্দেশিকার বিরোধিতা করে একযোগে সব দলের বিরোধিতা প্রমাণ দিচ্ছে, বাংলা আবেগই কাছে আনছে বাম-কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement