সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চেও রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। রাষ্ট্রসংঘে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থেকে ভারতকে আর কতদিন দূরে রাখা হবে, সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি। শনিবার সন্ধেয় রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করেই চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব নিয়েও খোঁচা দিলেন মোদি।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “যখন রাষ্ট্রসংঘ (UN) গঠিত হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। এখন একবিংশ শতকের প্রজন্মের চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা আলাদা রকম। নতুন যুগের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সংস্কার (Reform) আবশ্যিক।” ভারতবাসী তথা সারা বিশ্ব এই সংস্কারের অপেক্ষা করছেন বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি। মোদির কথায়, “বিভিন্ন শান্তি মিশনে ভারত বরাবর নিজের দেশের বীর জওয়ানদের এগিয়ে দিয়েছে। দেশের বহু জওয়ান সেখানে প্রাণ হারিয়েছে। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ভারত।” তারপরেও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা থেকে এ দেশকে দূরে রাখা হচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “আর কতদিন ভারতকে রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা থেকে দূরে রাখা হবে?”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গোটা বিশ্বের ১৮ শতাংশ মানুষ এই গণতান্ত্রিক দেশে থাকেন। তাঁরা রাষ্ট্রসংঘের উপর বিশ্বাস করেন। তারাও রাষ্ট্রসংঘের সদর্থক পদক্ষেপের জন্য মুখিয়ে রয়েছে।” উল্লেখ্য, ভারত দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দিতে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র রাজি থাকলেও চিনের বিরোধিতায় তা বারবার আটকে যাচ্ছে।
If we were to make an objective assesment of the performance of UN over the last 75 years, we see several stellar achievements. But at the same time, there are also several instances that point to the need for a serious introspection of the work of the United Nations: PM Modi
— ANI (@ANI) September 26, 2020
এই মঞ্চ থেকে নাম না করেই চিন ও পাকিস্তানকে খোঁচা দেন মোদি। বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারত নিজের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের উন্নয়নেও সামিল হয়। ভারত কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে তাঁর পাশে থাকে। বন্ধুত্বের বদলে তৃতীয় কোনও দেশের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেয় না।” প্রসঙ্গত, ভারতকে কোণঠাসা করতে বেজিং প্রতিবেশী ইসলামাবাদকে বিভিন্নভাবে কাছে টানার চেষ্টা করছে। নানা সুযোগ-সুবিধার পরিবর্তে ভারত বিরোধী পদক্ষেপ নিতে চাপ বাড়াচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, এদিন ঘুরিয়ে চিনকেই কটাক্ষ করলেন মোদি। এদিন রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকে মাদকপাচার, বেআইনি অস্ত্র ও মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মোদি।
India’s partnerships are always guided by this very principle. Any gesture of friendship by India towards one country is not directed against any third country: PM Modi #ModiAtUN https://t.co/vpw6KgPMgr
— ANI (@ANI) September 26, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.