সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক লোকসভায় জানিয়েছিল, লকডাউনের (Lockdown) সময় বাড়ি ফিরতে গিয়ে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labourers) মৃত্যু হয়েছে সেই পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। শুধু তাই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গাংওয়ার।
তিনি জানিয়েছিলেন, পরিযায়ীদের সম্পর্কে এই সব তথ্য সরকারের কাছে নেই। তাঁর এমন উত্তরের পর সমালোচনায় মুখর হয় বিরোধীরা। অবশেষে সোমবার শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর ফলে হওয়া লকডাউনের সময় মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ওই সময়ে মোট ১.০৬ কোটি মানুষ নিজেদের রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের তথ্যের অলভ্যতা সম্পর্কিত মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিরোধী সাংসদরা। কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, এনডিএ-র অর্থ হল ‘নো ডেটা অ্যাভলেবল’।
সোমবারই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যসভায় জানানো হয়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মিলিছে পরিযায়ী মৃত্যু সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই সময় রাস্তায় হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় ৮১,৩৮৫টি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় ২৯,৪১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে পৃথক তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
গতকাল কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়ে দিয়েছিলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৯৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁদের কারও পরিবারকেই কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ুনি বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিযায়ীদের জন্য বিশেষ বাস ও ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করে। তার আগে মার্চের শেষ থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের সময় ভিনরাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য এসে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে বিরাট আতান্তরে পড়েন। উপায়ান্তর না দেখে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তাঁরা। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছনোর অনেক আগে রাস্তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.