সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া হাথরাস (Hathras) গণধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ। তদন্তের ‘মিসিং লিংক’ খুঁজতেই এই সিদ্ধান্ত নিল তারা। ঘটনাস্থলে হাজির করা হবে অভিযুক্ত চার যুবককেও। তবে এরই মধ্যে এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের বয়ানে নয়া মোড় নিচ্ছে তদন্ত। ১৯ বছরের নির্যাতিতার পরিবারের বিপরীত বিবৃতি শোনা গিয়েছে কয়েকজন গ্রামবাসীদের মুখে। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপের সঙ্গে নির্যাতিতার বন্ধুত্ব ছিল। প্রায়ই কথা বলতে দেখা যেত দু’জনকে। এর সত্যতা যাচাইয়ে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। ঠিক কী ঘটেছিল ১৪ তারিখ, তা জানতেই এবার ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানাচ্ছেন, তদন্তকারীরা সব রকমের সম্ভাব্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। অপরাধের দৃশ্যটি পুনর্নির্মাণ করতে চান তদন্তকারীরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চারটি কাস্তে ও একটি চটি খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের মতে, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ওখানে অন্তত চারজন শস্য কাটার জন্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ প্রত্যক্ষদর্শীও হতে পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার মা ও দাদার বিস্তারিত বয়ান রেকর্ড করা হবে। সেই বয়ান অনুযায়ী পুনর্নির্মিত হবে সেদিনের ঘটনা। ওই পুলিশ অফিসার আরও জানান, যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকার সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দিতে চলেছে, তবুও পুলিশ চাইছে সব প্রমাণ জোগাড় করতে। এই সব প্রমাণ সিবিআই-কে দেওয়া হবে, যাতে তাঁদের তদন্তে সুবিধা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিতা প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সন্দীপ বলে কারও নাম জানিয়েছে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ দাবি করেছে, ১৯ বছরের ওই তরুণীর মৃত্যুর জন্য দায়ী তার পরিবার। গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করে, নির্যাতিতার ভাইয়ের সঙ্গে সন্দীপের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ফোনে কথাও হত। এই দাবি অবশ্য অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার দাদা। অন্যদিকে, সন্দীপের সঙ্গে তরুণীর ‘বন্ধুত্ব’ ছিল বলে গ্রামবাসীরা দাবি করছেন। এর সত্যতা প্রমাণিত হলে, তা তদন্তে নয়া মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.