ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে প্রায় রণব্যস্ততায় কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন অনুসন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। রাশিয়া বা চিনের মতো এদেশেও সেই ব্যস্ততা প্রবল আকার ধারণ করেছে। কাজ চলছে জোর কদমে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, আগামী বছরের গোড়াতেই হয়তো চলে আসবে ভ্যাকসিন। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশার এক যুবক দাবি করে বসেছিল, সে বানিয়ে ফেলেছে কোভিড ভ্যাকসিন ( fake Covid vaccine )! বলাই বাহুল্য ওই যুবকের দাবির কোনও সারবত্তা নেই।
এমন খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার করেছে ‘কেভিড-১৯ ভ্যাকসিন’ লেবেল আটকানো শিশি! ওই যুবক কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেল করে তার তৈরি ভ্যাকসিন বিক্রি করার লাইসেন্স চেয়েছিল। তখনই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরই তার বাড়ি হানা দেয় পুলিশ ও ড্রাগ প্রয়োগকারী কর্তারা। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
ওড়িশার রুসুদা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩২-এর প্রহ্লাদ বিশির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার তৈরি করা ভ্যাকসিনের উপাদান কী কী? উত্তরে প্রহ্লাদ জানায়, সে তা বলবে না। জেরার মুখে সে কেবল এটুকু বলেছে, এটা ‘টপ সিক্রেট’। ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেহুরি জানিয়েছেন, ‘‘ওই যুবক ওর তৈরি ভ্যাকসিন বেচতে চেয়ে ইমেল করতেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। ওর বাড়িতে হানা দেওয়ার পর আমরা দেখতে পাই বহু কাচের শিশিতে পাউডার ও রাসায়নিক রাখা। তার গায়ে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন’ লেখা।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওকে ১৮ (সি) ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইনের ১৯৪০ নম্বর ধারাতে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি ওই যুবক এর আগে এলাকার কোনও ওষুধ তৈরির বিষয়ে যুক্ত ছিল কিনা।’’
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্বঘোষিত কোভিড ভ্যাকসিনের ‘আবিষ্কারক’ ওই যুবক পড়াশোনা করেছে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। তবে সে যে এখনও ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করেনি তা জেনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে পুলিশ। তার ঘরে অবশ্য কেবল কোভিড ভ্যাকসিন নয়, আর এক ধরনের ওষুধও পাওয়া গিয়েছে। ওই যুবকের দাবি ওষুধগুলি নাকি বন্ধ্যাত্ব দূর করে। সে আরও জানায়, চড়া দামে সে ইতিমধ্যেই এগুলি বিক্রি করেছে কয়েক জনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.