Advertisement
Advertisement
Jaswant Singh

কূটনৈতিক দক্ষতাই ছিল হাতিয়ার! বাজপেয়ীর বহু মুশকিল ‘আসান’ করেছেন যশবন্ত

দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে সমালোচিতও হয়েছেন বহুবার।

Bengali News: Jaswant Singh: A gentleman politician and Vajpayee’s globetrotting trouble-shooter | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 27, 2020 10:39 am
  • Updated:October 1, 2020 2:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ চলে গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং (Jaswant Singh)। বয়স হয়েছিল ৮২। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সহ শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষেরই বহু রাজনৈতিক নেতাই টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে।

সাতের দশকের গোড়ায় রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেন তিনি। চূড়ান্ত সফল রাজনৈতিক কেরিয়ারে মোট ন’বার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। যদিও ১৯৯৮-৯৯ সাল‌ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার বছরেই নির্বাচনে হেরে যান তিনি। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান রাজস্থান থেকে। কিন্তু অচিরেই ১৯৯৮-এর মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। নিযুক্ত হন প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: NCB’র জিজ্ঞাসাবাদে ‘ড্রাগ চ্যাটে’র কথা স্বীকার দীপিকার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন শ্রদ্ধা কাপুরও]

পরবর্তী সময়ে বাজপেয়ী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে ওঠেন যশোবন্ত। কখনও বিদেশমন্ত্রী, কখনও প্রতিরক্ষামন্ত্রী— নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর ‘মুশকিল আসান’। আপাত ভাবে ভদ্র রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হলেও সংসদের বিতর্কে দেখা যেত তাঁর তার্কিক মেজাজ।

[আরও পড়ুন: ‘মাদক সেবনকে সমর্থন করি না’, অভিযোগ উঠতেই সাফাই করণ জোহরের]

১৯৯৮ সালে ভারতে পারমাণবিক পরীক্ষার পর আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেই সময় যশবন্ত একজন দক্ষ কূটনীতিবিদের মতো আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামলাতে বড় ভূমিকা পালন করেন। ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভারতে আসার পর যশোবন্তের দক্ষতাতেই আবারও ভালো জায়গায় পৌঁছয় দুই দেশের সম্পর্ক।

প্রশাসক হিসেবে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। আফগানিস্তানের কান্দাহারে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় যাত্রীদের মুক্তির জন্য জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হন যশোবন্ত।  ২০০৯ সালে লেখা একটি বইয়ে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মহম্মদ আলি জিন্নার প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ থাকার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

কেরিয়ারে শেষে এসে বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। ২০১৪  নির্বাচনে দল টিকিট না দেওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের  সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর এমন সিদ্ধান্ত ভালো নজরে দেখেন‌ি দল। ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড হন। নির্বাচনেও বিপুল ভোটে পরাজিত হন। কার্যত সেই সময়ই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কেরিয়ার।

রবিবার যবনিকা পড়ে গেল এক কর্মক্লান্ত জীবনের। শেষ হল ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement