সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরাসে গণধর্ষণ এবং নৃশংস শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া দলিত যুবতী। গত দু’সপ্তাহ ধরে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। আজ ওই যুবতীর মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে গর্জে উঠেছেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠেছে, আর কত নৃশংস ধর্ষণের সাক্ষী হতে হবে দেশকে? পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কতটা সেপ্রশ্নও উঠে গিয়েছে।
পরিসংখ্যানও উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তার ভয়াবহ ছবিটাই তুলে ধরছে। গত ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি ক্রমেই নিম্নমুখী। এই ক’বছরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনআরসিবির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ ও ২০১৮ দুই বছরই নারী নির্যাতনে শীর্ষস্থানে উত্তরপ্রদেশ। ২০১৯ সালের রিপোর্টও ভয়ঙ্কর। সেখানেও উত্তরপ্রদেশই শীর্ষে। এবছরও একের পর এক ভয়াবহ নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাথরাসের ঘটনা। নির্যাতিতার জিভ কেটে নিয়েছিল ধর্ষকরা। তাঁর শরীরের বহু হাড়ও ভেঙে গিয়েছিল অত্যাচারের বীভৎসতায়।
২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর থেকে নয়াদিল্লিকে অনেকে দেশের ‘ধর্ষণ-রাজধানী’ বলা শুরু করেছিল। কিন্তু অনেকেরই মতে, ক্রমে দিল্লিকে পিছনে ফেলে সেই স্থানে পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। দেশের মধ্যে যোগীর রাজ্যেই নারী নির্যাতন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে।
এই দাবির সঙ্গে একমত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি এদিন দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হয়েছে। মেয়েদের নিরাপত্তার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। অপরাধীরা প্রকাশ্যে অপরাধ করছে।’’
যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য আপনি দায়বদ্ধ।’’ হাথরাসের গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আবেদন করেছেন প্রিয়াঙ্কা।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও হাথরাসের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। দেশ তথা সরকারের জন্য এমন ঘটনা যে চরম লজ্জার, সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.