সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৬ বছর পর নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Bhavan) পেল ভারত। যার পরিকল্পনা ও নির্মাণ ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক বেঁধেছিল। এমনকী, নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন পর্বও বিতর্কিত (Controversial) হয়ে রইল। দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো অনুসারে গণতন্ত্রের মন্দিরে শীর্ষ সাংবিধানিক পদে থাকা রাষ্ট্রপতিকে ‘ব্রাত্য’ রাখা যেমন ‘ঐতিহাসিক’ অনুষ্ঠানটিকে অনুজ্জ্বল করল, তেমনই এর প্রতিবাদে ২০টি বিরোধী দলের ‘বয়কট’ও সমস্ত আলোকে ম্লান করে দিল। তবে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন বহু দিক থেকেই নজর কাড়ল দেশবাসীর। তেমনই নয়া ভবনের অন্দরসজ্জায় (Interior Design)ভারতীয় কৃষ্টি-শিল্পকে স্থান দিয়ে ‘এক ভারত’-এর চেতনাকে বিকশিত করা হয়েছে। অবদান থাকল বাঙালিরও (Bengali)। পাশাপাশি, এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ৭৫ টাকার মুদ্রার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই মুদ্রা নতুন সংসদ ভবনের স্মারক হিসাবে থাকবে।
নয়া সংসদ ভবনের মেঝেতে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট (Carpet) পাতা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সে রাজ্যের প্রায় ৯০০ জন কারিগর, ১০ লক্ষ ঘণ্টায় এই কার্পেটটি বুনেছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভার মেঝেয় শোভা পাবে এই গালিচা। লোকসভা এবং রাজ্যসভার কার্পেটে জাতীয় পাখি ময়ূর (Peacock) এবং জাতীয় ফুল পদ্মের (Lotus) চমৎকার মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি শতাব্দীপ্রাচীন বাঙালি সংস্থা ওবিটি কার্পেট-কে নতুন সংসদ ভবনের জন্য গালিচা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার চেয়ারম্যান রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”কারিগররা দুই কক্ষের জন্য দেড়শোটির বেশি কার্পেট তৈরি করেছেন। পরে সেগুলিকে জুড়ে ভবনের মেঝেয় বসানো হয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার বর্গফুট কার্পেটে মোটিফ যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা শিল্পীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।”
তাঁর আরও বক্তব্য, ”আমরা ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর মাঝেই প্রকল্পটি শুরু করেছিলাম। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া প্রক্রিয়াটি ২০২২-এর মে মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয় এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে ইনস্টলেশন শুরু হয়েছিল।” দীর্ঘদিন ধরে চলেছে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ। যার জন্য সারা দেশ থেকে নানা উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। তারই একটা মির্জাপুরের কার্পেট। যার তত্ত্বাবধানে বাঙালি সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.