Advertisement
Advertisement

Breaking News

মানালিতে তীব্র অর্থসংকটে ভুগছেন স্বজনহারা বাঙালি পর্যটকরা

অভিযোগ, মিলছে না সঠিক চিকিৎসা৷

Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 24, 2018 12:07 pm
  • Updated:October 24, 2018 12:07 pm  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: একে তো প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তার উপর টাকার টানাটানি। দু’য়ে মিলে চরম সংকটের মুখে পড়েছে হিমাচলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাঙালি সেই পর্যটকের দল।

[ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, জওয়ানদের গুলিতে খতম ২ জঙ্গি]

Advertisement

রবিবার সকালে মানালি থেকে রোটাং পাস যাওয়ার পথে গাড়ি-সহ খাদের পড়ে যায় দশজন বাঙালি পর্যটকের একটি দল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে এক যুবকের। রাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বাকি ন’জন। তবে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজনের পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাকিদের আঘাতও গুরুতর। হাসপাতালে ভরতি তাঁরা। তবে এসবের চেয়েও এখন অন্য দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে তাঁদের। আর সেই কারণেই এখন চিকিৎসা না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাঙালি পর্যটকরা। ওই পর্যটকদের অভিযোগ, যে মিশানরি হাসপাতালে তাঁদের রাখা হয়েছে, টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ৷ তাঁদের কাছে টাকার জোগান নেই জানতে পেরে, অসুস্থ অবস্থাতেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে৷

[অন্তর্কলহে রদবদল, সিবিএআইয়ের রাশ ধরলেন নাগেশ্বর রাও]

সপ্তমীর দিন ১৬ অক্টোবর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম ও চাঁদপাড়া অঞ্চল থেকে দশ জনের দলটি সিমলায় গিয়েছিল পুজোর ছুটি কাটাতে। লক্ষীপুজোর দিন বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। এরই মধ্যে রবিবার আচমকা দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। খাদে পড়ার সময় গাড়ি থেকে ছিটকে বেরিয়ে পাথরের উপর আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে চাঁদপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের। আট জনের গুরুতর আঘাত লাগে। অপেক্ষাকৃত কম চোট লাগে প্রশান্ত দাস নামে মধ্যমগ্রামের এক যুবকের। তিনিই স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করান। সোমবার সেখানেই অস্ত্রোপচার হয় সুমন দাস নামে এক পর্যটকের। বাকিদের কারও মাথায় আঘাত, কারও পায়ে। এই দলের সদস্য শুভঙ্কর রায়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। অভিযোগ, প্রথমে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তারপর অসুস্থ অবস্থাতেই রোগীদের নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন আটকে থাকা পর্যটকরা। ওই দলের আরেক সদস্য সুমন দাস জানিয়ছেন, “ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতালের তরফ থেকে যেমন পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছিল, এদিন থেকে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বেড খালি করার জন্য চাপ দিচ্ছে। বুধবার সকালে তাই অসুস্থ অবস্থাতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়া হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement