অর্ণব আইচ: দিল্লির পর এবার বিজেপি শাসিত অসমে তদন্তের কাজে বাধা পেলেন বাংলার সিআইডি আধিকারিকরা। ভবানীভবন থেকে যাওয়া সিআইডির এক ইন্সপেক্টর এবং এক সাব ইন্সপেক্টরকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। তাঁদের কাজে বাধা দিয়ে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলার কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। যে ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁদের (Congress MLA) গ্রেপ্তারির পর জেরা করছে সিআইডি। জেরায় জানা যায়, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য বিজেপি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কংগ্রেসের ওই তিন বিধায়ককে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলার সিআইডি আধিকারিকরা। এদিন গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামতেই ইন্সপেক্টর এবং সাব ইন্সপেক্টরকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁরা সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোনও ফুটেজ দেওয়া যাবে না। এরপরই তাঁদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গুয়াহাটির পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন এ রাজ্যের সিআইডি (CID) আধিকারিক। তিনি অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ ঘটনা একেবারে দিল্লির ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এদিনই আর্থিক লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী সিদ্ধার্থ মজুমদার নামের এক প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য চারজনের একটি দল যায় ভবানীভবন থেকে। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই দিল্লি পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় সিআইডিকে। আদালতের তরফে তল্লাশি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ সিআইডিকে আটকে দেয়। চার আধিকারিককে সাউথ ক্যাম্পাস পুলিশ স্টেশনে আটক করে বসিয়ে রাখা হয়। যার জন্য বাংলা থেকে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা দিল্লি রওনা দেন। তারপরই অসমে বাধা পেল সিআইডি।
দিল্লিতে সিআইডিকে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এক্ষেত্রে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা তৈরি হয় বলে দাবি করেন তিনি। এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার সিআইডি দল বাধা পাওয়ায় ‘কেন্দ্রের ক্ষমতার অপপ্রয়োগে’র তত্ত্ব আরও প্রকট হয়ে উঠল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.