Advertisement
Advertisement
BJP

তৃণমূলের বিরুদ্ধে আর সংসদে ধরনা দেওয়া যাবে না, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বিপাকে বঙ্গ বিজেপিই

বাংলার নতুন রাজ্যপাল ধনকড়ের মতো ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা বঙ্গ বিজেপির।

Bengal BJP in limbo over no dharna in parliament premises, diktat | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 19, 2022 1:57 pm
  • Updated:July 19, 2022 1:57 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সংসদে ধরনা, অনশন বা বিক্ষোভের উপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বিপাকে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বারবারই সংসদে সরব হতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের। এমনকী, সংসদ চত্বরে বিক্ষোভও করতে দেখা যেত তাঁদের। এবার বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন না বলে জানালেন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। রাজ্যেও একইরকম বিধিনিষেধ জারি হলে বিজেপিকে যে সমস্যায় পড়তে হবে, তাও স্বীকার করেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলার নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মতো ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন সুকান্ত।

সাংসদদের আচরণ ও শব্দ ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় শুধু বিরোধীরা নয়, বিপাকে পড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকেও। যে রাজ্যে দল ক্ষমতায় নেই সেখানকার সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হতেন সেই রাজ্যের সাংসদরা। বঙ্গ বিজেপির সাংসদরাও একাধিকবার অধিবেশন কক্ষের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বা গেটের সামনে বিক্ষোভে শামিল হতেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে বেনজির পতন, প্রথমবার ৮০ টাকা ছুঁল ডলারের দাম]

কিন্তু এবার বিধিনিষেধের ফলে অধিবেশনে গলা ফাটালেও বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন না বলে স্পষ্ট জানালেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে এখন বিজেপি বিরোধী দল। একই নিয়ম সেখানেও লাগু হলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে মেনে নেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন যে কোনও ইস্যুতে তাঁর শরণাপন্ন হওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন পদ্মশিবিরের নেতারা। ধনকড়ের ইস্তফার পর রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করবেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। তিনিও ধনকড়ের মতো একই ভূমিকা নেবেন বলে আশাবাদী বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর যুক্তি, বাংলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর শাসকের আক্রমণ চলছে। সেই সঙ্গে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। তার মোকাবিলা করতে রাজ্যপালের কাছে যেতেই হয়। তিনি বিরোধীদের রক্ষাকর্তা। ধনকড় সেই ভূমিকা পালন করতেন।

[আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্যে GST, সংসদে প্রতিবাদ কংগ্রেসের, বাইরে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ধরনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement