চিনের তরফে প্রথম কোনও অফিসার পদমর্যাদার সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হল।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় ১৫ জুন রাতে ভারত-চিনা সেনার সংঘর্ষে শহিদ হন এক কর্নেল-সহ ২০ ভারতীয় জওয়ান। কিন্তু ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ৪৩ জন লালফৌজের জওয়ান হতাহত হয়েছে। তবে সোমবার বেজিং স্বীকার করে নিয়েছে, সেদিনের সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) এক কম্যান্ডিং অফিসারও নিহত হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার লাদাখের পূর্বদিকে চিন নিয়ন্ত্রিত মলডো অঞ্চলে দুই দেশের সেনার দ্বিপাক্ষিক কোর কম্যান্ডার লেভেল বৈঠকে চিনা সেনার তরফে কম্যান্ডিং অফিসার-সহ কয়েকজন সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর চিনের তরফে প্রথম কোনও অফিসার পদমর্যাদার সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হল।
লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা LAC পেরিয়ে গত মে মাসে লালফৌজের অনুপ্রবেশের পরে গত ৬ জুন দুই দেশের সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল লেভেল বৈঠক হয়। তখন ঠিক, উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের সেনাই মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসবে। কিন্তু গালওয়ানের পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪-তে লালফৌজ সেই কথার খেলাপ করে। ১৫ জুন রাতে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে লালফৌজের জওয়ানদের হামলায় শহিদ হন কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা। আহত হন অন্তত ৭৬ জন। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর ছিল, ১৬ বিহার রেজিমেন্টের প্রত্যাঘাতে হামলাকারী চিনা সেনার অন্তত ৪৩ জন হতাহত হয়।
বেজিংয়ের সংবাদমাধ্যম তখন দাবি করে, ১৫ জুন রাতে ভারত ও চিনা বাহিনীর সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) পাঁচ জওয়ানও প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অন্তত ১১ জন চিনা সেনা অসুস্থ। কিন্তু এটা ছিল সংবাদমাধ্যনের দাবি। এতদিন রেড আর্মির তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সোমবার লাদাখে দ্বিপাক্ষিক সেনা বৈঠকে কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে চিন। তবে ভারতীয় সেনার দাবি, চিনের তরফে হতাহতের সংখ্যা বেশি। সবকিছুর মতো এটাও তারা লুকাতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.