সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুত্ব আর অযোধ্যা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। কান টানলে মাথা আসার মতোই এ দুটো শব্দের সহাবস্থান। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সেরকমই ইঙ্গিত করে। এবার সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে সেই অযোধ্যাতেই একটি মন্দির চত্বরে হল ইফতার আয়োজন।
[ দশক পুরনো রীতিতে ইতি, পরম্পরা মেনে রাষ্ট্রপতি ভবনে হচ্ছে না ইফতার পার্টি ]
সরযূ কুঞ্জ অযোধ্যার বেশ প্রাচীন মন্দির। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো মন্দির চিরকালই এই প্রথাকে মান্যতা দিয়ে আসছে। মন্দিরে রাম-সীতা এবং ব্রহ্মার মূর্তি আছে। নিত্য পূজা, অর্চনা হয়। কিন্তু তা বলে অন্য ধর্মকে খাটো করে দেখার বালাই নেই। রমজান মাসে তাই ইফতারের আয়োজন হয় এই মন্দিরে। দীর্ঘ প্রথায় এবারও ছেদ পড়েনি। যথারীতি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের। অন্যান্য মন্দির থেকে সাধুরাও এসে লাড্ডু বিতরণ করেন। ইফতারের আগে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী বার্তা দেওয়া হয়। পরে ইফতারে হাতে-কলমে এই অসাম্প্রদায়িকতার অনুশীলনও হয়। ইফতারের পরে মন্দির চত্বরেই মগরিব নমাজের আয়োজন করা হয়।
[ বাবার সিদ্ধান্তে অখুশি প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা, ওড়ালেন বিজেপিতে যোগদানের গুজব ]
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ইফতারের আয়োজন এই মন্দিরের দীর্ঘদিনের প্রথা। তাই এবারও একই কাজ করা হয়েছে। এখানে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। তাই ইফতারে সাধারণ মানুষকেই ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতা কিংবা মুসলিম সমাজের বিশিষ্টদের ডাক পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের কোনও প্রয়াস ছিল না।
অযোধ্যার মন্দিরে ইফতারের আয়োজন হলেও এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে কোনও ইফতার হচ্ছে না। ধর্মনিরপেক্ষ দেশের এক নম্বর নাগরিক হলেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর বাসভবনে কোনও ধর্মীয় রীতি পালিত হোক, তাতে সায় নেই বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব অশোক মালিক জানিয়েছেন, ‘ধর্ম ও শাসনের মধ্যে একটা ফারাক থাকা উচিত। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মাথায় বসে আছেন। ধর্মীয় অনুষঙ্গের সঙ্গে জড়িত না থেকেও কর প্রদানকারী এই ভবন কোনও ধর্মীয় রীতির আয়োজন করতে পারে না।’
[ সাহায্য করেনি যোগী সরকার, ৬০০০ কোটির কারখানা বন্ধের পথে পতঞ্জলি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.