নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার দেশের ৪৮টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রটি সাংসদশূন্য হওয়া সত্ত্বেও ওই কেন্দ্রে ভোট ঘোষণা করা হয়নি। সেই নিয়েই এবার নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগল রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁতের জেরেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়নি। তৃণমূল সূত্র বলছে, বসিরহাটের ভোট নিয়ে যে নির্বাচনী পিটিশনটি দায়ের হয়ে রয়েছে সেটা আসলে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের আঁতাঁতের ফল। ওই আসনটিতে এখন ভোট হলে তৃণমূল হাসতে হাসতে জিতে যেত, যে কারণে ওই কেন্দ্রে ভোট ঘোষণা করা হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটে কটাক্ষ করে বলছেন, “শুনলাম নির্বাচন কমিশনের অফিস নাকি বিজেপির সদর দপ্তরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
আসলে বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে নির্বাচনী পিটিশন দাখিল করেছেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। রেখা পাত্রের ইলেকশন পিটিশনের প্রেক্ষিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নোটিস জারি করা হয়েছে। ওই নির্বাচন সম্পর্কিত সব নথিও সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাট থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত সাংসদ হাজি নুরুল প্রয়াত হয়েছেন। ফলে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়েছে। সম্ভবত ওই নির্বাচনী পিটিশনের জন্যই বসিরহাটের ভোটের দিনক্ষণ এদিন ঘোষণা করা হয়নি। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, ওই পিটিশনটি আসলে কমিশন-বিজেপি আঁতাঁতেরই জের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্রে এক দফায় ভোট হবে ২০ নভেম্বর। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে ঝাড়খণ্ডে। কমিশন একই সঙ্গে জানিয়েছে, ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দেশের ৪৮টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ১৩ নভেম্বর দেশের ৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং কেরলের ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। ওই দিনই রাজ্যের ছয় কেন্দ্র নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট, সিতাইয়ের উপনির্বাচন। এর মধ্যে হাজি নুরুলের ছেড়ে আসা বিধানসভা হাড়োয়া রয়েছে, কিন্তু বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.